৫ নভেম্বর ২০২৫

সরকারের সব উদ্যোগের পরও আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

বাংলাধারা ডেস্ক »

সরকারের সব উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়ে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। আমদানি শুল্ক মওকুফ, ঋণের সুদ কমানো, জরুরি ভিত্তিতে বিমানে আমদানি করাসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। দাম স্থিতিশীল রাখতে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চার্জ মওকুফ করার ঘোষণাও দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।কিন্তু কোনভাবেই পেঁয়াজের দামের নাগাল টানতে পারেনি।

বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজও কিছু বাজারে উঠছে। কোনো কারণ ছাড়া আবার বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যটির দাম। কয়েকদিন আগেও খুচরা বাজারে ১৪০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আমদানি করা মায়ানমারের পেঁয়াজ ২শ’, চায়না পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০, মিশর ও তুরস্কের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মায়ানমারের ভাল মানের পেঁয়াজ বাজারে দেশি পেঁয়াজ বলে বিক্রি করা হচ্ছে এমন অভিযোগও করছেন ক্রেতারা।

পেঁয়াজ নিয়ে আবার এই অস্থিরতায় ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকে বাজারে গিয়ে পেঁয়াজ না কিনে ফেরত এসেছেন।পাশাপাশি দাম বাড়ার কারণ স্পষ্ট জানাতে পারেননি পাইকারি বা খুচরা ব্যবসায়ীরা।

গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। আড়ত, পাইকারি এবং খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীর এই পণ্যের দাম। ৪৫ টাকার পেঁয়াজ পৌছে যায় প্রায় ৩০০ টাকা কেজিতে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

পাকিস্তান প্রথম পেঁয়াজের চালান দেশে পৌঁছায়। এরপর আরও কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজের চালান এসেছে।আমদানি করা পেঁয়াজ টিসিবির ন্যায্যমূল্য কর্মসূচি ট্রাক সেলের মাধ্যমে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়। এর কিছুটা প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যে হারে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কারণ পেঁয়াজ একটা কাঁচামাল। বাজারে যখন পরিমাণে বেশি থাকে তখন দাম কমে আসে। পরিমাণ কমে গেলে দামও বেড়ে যায়।

আর খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা পাইকারী বাজার থেকে বেশি দামে কিনে এনেছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন। আবার অনেকে বলছেন আগে বেশি কিনতে হয়েছে।এখন কম দামে বিক্রি করলে লোকসান দিতে হবে।

এ ব্যাপারে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরবরাহে ঘাটতি থাকায় দাম বাড়ছে। আগে সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার ছিল। এই সংকটের সুযোগকে ব্যবহার করে কিছু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা করছে। তারা ভোক্তাদের পকেট কাটছে।বাজারে নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না। যারা অবৈধ উপায়ে মজুদ রেখে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে, বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি জানিয়েছেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ