বাংলাধারা ডেস্ক »
ভারতের তেলেঙ্গায় ধর্ষণের পর পশু চিকিৎসককে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তেলেঙ্গার শাদনগরের যে রাস্তায় ওই চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া যায়, শুক্রবার(৬ ডিসেম্বর) ভোরে সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মুহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০)। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই।
পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, অভিযুক্ত চারজনকে ভোরে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ।হায়দ্রাবাদ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ এলাকা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল তরুণীর দগ্ধ শরীর। সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তারা। সে সময় পুলিশের গুলিতে মারা যায় গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এ চারজন। অভিযুক্তরা ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছিল।
সাইবারাবাদ পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ নভেম্বর রাতে ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক ঘটনা। এক তরুণীকে টুল-বুথের কাছে স্কুটার রেখে যেতে দেখে এ চার অভিযুক্ত। পেশায় তারা ছিল ট্রাক ড্রাইভার ও খালাসি। তারা ইচ্ছাকৃত ওই চিকিৎসকের স্কুটারের টায়ার পাংচার করে দিয়ে তার ফিরে আসার অপেক্ষা করতে থাকে। সে ফিরে এসে এমন ঘটনা দেখার পর এ চারজন তাকে সাহায্য করার ভান দেখিয়ে এগিয়ে আসে, আর এরপরই ঘটে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যালীলা। প্রথমে চারজন মিলে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয়া হয় এ পশু চিকিৎসককে। তারা কোনো প্রমাণ না রাখতেই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।২৬ বছরের ওই তরুণীর আধপোড়া দেহাংশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ ও ৩৬২ ঝারায় অপহরণের অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে, তেলেঙ্গানা ধর্ষণ-কাণ্ডে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল পুরো ভারত। সব মহল থেকেই অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছিল। এমনকি তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান জয়া বচ্চনসহ একাধিক সংসদ সদস্য।গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে গত সোমবারই দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। কালো ব্যাজ এবং ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অনেকে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













