খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি »
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সীমান্তঘেঁষা তৎকালীন মহুকুমা শহর রামগড় ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়। এ দিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে রামগড়ের মুক্তিকামী পাহাড়ি-বাঙালি জনতা। জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে রামগড়।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হানাদার মুক্তদিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে একটি র্যালি বের হয়।
মুক্ত দিবস উপলক্ষে রামগড় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক সংগঠনগুলো রামগড় লেকপাড়ে স্থাপিত বিজয় ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ইসরাত।
রামগড়কে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে ২ মে প্রথমবারের মতো রামগড়ে হামলা চালায় পাক বাহিনী। সে সময় মুক্তিযুদ্ধে রামগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর মো. রফিকুল ইসলামের নির্দেশে সব যুদ্ধসামগ্রী সীমান্তের ওপারে স্থানান্তর করা হয়। সে দিনই হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে রামগড় শহর ও আশপাশ এলাকা জ্বালিয়ে দেয়। এতে পাক বাহিনীর হাতে রামগড়ের সাময়িক পতন ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষের দিকে ৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা আক্রমণ ও ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে রামগড়ের শত্রু ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করা হলে পাক সেনারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রাতের আঁধারে রামগড় ত্যাগ করে। এরপর ৮ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় দুটি ভারতীয় জঙ্গী বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে রামগড়কে পুরোপুরি হানাদার মুক্ত করে। রামগড় খাগড়াছড়ির প্রথম হানাদার মুক্ত অঞ্চল।
৮ ডিসেম্বর পড়ন্ত বিকেলে রামগড় ডাকঘরের শীর্ষে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রয়াত সুলতান আহম্মদ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন এবং রামগড়কে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ
				












