৩১ অক্টোবর ২০২৫

গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন সবাই

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু দেশ।বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে পুরোদেশ। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দিনের অর্ধেকটা সময় সূর্যের দেখা মিলছেনা। এতে করে জন জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সবচেয়ে বেশি ভুগছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।

খড়-কুটো আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যাত্রী কম হওয়ায় যাত্রীবাহী বাসগুলোও দেরিতে গন্তেব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে চার থেকে সাত ডিগ্রি পর্যন্ত। এই তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র শীতের কারণে পাতলা পোশাকের পরিবর্তে গরম কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন সবাই। ফুটপাত থেকে শুরু করে শপিং মলে সোয়েটার, কম্বল, লং জ্যাকেট, শর্ট জ্যাকেট, ব্লেজারসহ গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা।

স্থানীয়ভাবে তৈরি ও দেশের বাইরের থেকে আমদানি করা শীতের পোশাক দোকানগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। শীতের কাপড় কিনতে বিপনীবিতানে দলে দলে ভিড় করছেন বিভিন্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতের কারণে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে গরম কাপড়ের বেচাবিক্রি। শীত বাড়তে থাকায়, বিভিন্ন ধরণের দোকানে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। আর সুযোগ বুঝে, দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।

ফুটপাতে স্লোগান দিয়ে গরম কাপড়বিক্রি করছেন হকাররা। এখানেও সোয়েটার, ব্লেজার, টুপি, কাপড়ের জুতা, কেটস, জ্যাকেট, ট্রাউজার, প্যান্ট, হাত ও পায়ের মোজা, মাফলার, চাদর ও কম্বলসহ নানা ধরনের গরম পোশাক চোখে পড়ছে  সেখানে। ক্রেতার সংখ্যাও বেশি।

এদিকে,প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়েও তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন