বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন ওবায়দুল কাদের। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদ, জিল্লুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পর একাধিক মেয়াদে দেশের প্রাচীনতম দলটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সারাদেশ থেকে আসা ৭ হাজার ৩শ’ ৩৭ কাউন্সিলরের ভোটে তারা নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের কাউন্সিল অধিবেশনে দুপুর সোয়া ১টার দিকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন দল ও অধিবেশনের সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রেখে সাধারণ সম্পাদকদের প্রতিবেদন সভাপতির অনুমতিক্রমে পঠিত বলে গণ্য হয়েছে হিসেবে উপস্থাপন করেন। পরে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতারা।
বক্তব্য শেষে গঠনতন্ত্রের বেশকিছু সংশোধনী গৃহীত হয়। পরে আগের সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্বের জন্য কাউন্সিলরদের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এসময় আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুল মতিন খসরু দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন।
এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান একই কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তী ভট্টাচার্য। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার প্রস্তাবে সমর্থন জানান ওই কমিটির আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
এরপর কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।
এর আগে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কাউন্সিলরেদের জন্য নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। আর সর্মথন করেন আব্দুর রহমান।
এবার কাউন্সিলে ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাজ করে। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমাহুন, সদস্য ছিলেন ড. মসিউর রহমান এবং প্রফেসর সাঈদুর রহমান৷
শেখ হাসিনাকে সভাপতি পদে মনোনয়ন আহ্বান করলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় টানা নবম বারের মতো নির্বাচিত হন তিনি। সব কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আবদুল মতিন খসরু এবং সমর্থন করেন পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য।
এর আগে পৌষের শীতকে উপেক্ষা কউন্সিলে ৭ হাজার ৩শ’ ৩৭ জন কাউন্সিলর আসেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। নতুন নেতৃত্বের নির্বাচন করার আগে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কাউন্সিলরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













