বাংলাধারা ডেস্ক »
বৃহস্পতিবার(২৬ ডিসেম্বর)সকালেই শুরু হয়ে গেছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।বাংলাদেশ সময় প্রায় ৯টা ১৫ মিনিটে গ্রহণ শুরু হয়। গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৫মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে ।বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও সৌদি আরব, কাতার, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাচ্ছে।এই আংশিক সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ক্যাম্পের আয়োজন করেছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ।
পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ এসে পড়লে এই সূর্যগ্রহণ ঘটে। পূর্ণগ্রাস না হওয়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢাকা পড়বেনা আজ। যার ফলে এই গ্রহণে দেখা যাবে আগুনের রিং। আর এটিকে রিং অফ ফায়ার বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বলছে,, সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ঘুরছে। একই সঙ্গে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সূর্য ও পৃথিবীকে নিয়ে একটি তল কল্পনা করলে চাঁদ সাধারণত সেই তলে পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে না। কিন্তু কোনো কোনো অমাবস্যার সময় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাঁদ সেই তলে একই সরল রেখায় চলে আসে। সূর্য চাঁদের আড়ালে চলে যায় এবং চাঁদের সংকীর্ণ ছায়া তখন পৃথিবীর বুকে ভ্রমণ করে। সেই ছায়া যেসব জায়গার ওপর দিয়ে যায়, সেখান থেকে মনে হয় ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে সূর্য। ছায়ার কেন্দ্রে যেসব অঞ্চল পড়বে, সেখান থেকে পূর্ণ সূর্য গ্রহণ দেখা যায়। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদের কৌণিক ব্যাস সূর্যের কৌণিক ব্যাস থেকে অনেক কম থাকে। ফলে পূর্ণগ্রহণ হলেও চাঁদ কেবল সূর্যের কেন্দ্র ও কেন্দ্রের চারিদিককে ঢাকতে পারে। আর কেন্দ্রের বাইরে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ।
এদিকে,খালি চোখে সূর্য গ্রহণ দেখলে চোখের উপরে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে দৃষ্টিও হারাতে পারেন। তাই খালি চোখে এই গ্রহণ না দেখা ভালো। পেরিস্কোপ, টেলিস্কোপে দেখলেও সরাসরি থাকানো যাবেনা, কারণ গ্রহণ চলাকালীন খুবই সংবেদনশীল অবস্থাতে থাকে সূর্যের রশ্মি । সানগ্লাস বা ঘষা কাঁচ দিয়ে দেখতেও নিষেধ করেছে নাসা। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বিশেষ গ্লাস বা ফিল্টার দিয়ে দেখা উচিত।সেইসঙ্গে সূর্য গ্রহণের সাক্ষী থাকবে পুরো বিশ্ব।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













