বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর রাস্তায় ভাসমান, ভারসাম্যহীন ও অসুস্থ এমন অসহায় মানুষদের প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে সিএমপির একটি মানবিক ইউনিট। ৭ সদস্যের ইউনিটটির বেতনের টাকা দিয়ে চলে বেওয়ারিশ মানুষের চিকিৎসা।
এমনই একজন মানুষের চিকিৎসা করেছেন তারা, যিনি পচা শরীর নিয়ে এক মাস ধরে নগরীর কাপসগোলা ফুটপাতে পড়েছিল। বৃদ্ধ বাবার শরীরে আগুন দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় সন্তানরা। সেই বৃদ্ধার পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে সিএমপির এই মানবিক ইউনিট। পোকায় ধরা শরীর দেখে নাক চেপে পথচারীরা পালালেও বৃদ্ধের পচন ধরা শরীরে ওষুধ লাগিয়ে ব্যন্ডেজ করে দিয়েছেন তারা।
এর আগে নগরীর বটতলী রেলস্টেশনে শরীরে পচন আর পোকায় ধরা সোহান নামের এক ভারসাম্যহীন মানুষকে চিকিৎসা দেন মানবিক পুলিশের এই ইউনিটটি। এমন সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে স্থান করে নিয়েছে পুলিশ।
২০১০ সালে পুলিশ কনটেস্টেবল শওকত হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় মানবিক পুলিশ। এরপর থেকে নগরীর ফুটপাতে পড়ে থাকা ভাসমান, অসুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে সাত সদস্যের দলটি।
মানবিক পুলিশ ইউনিটের টিম লিডার শওকত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এমন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেবা দেয়াটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। দেশের সব মেডিকেল এমন ওয়ার্ড চালু করা গেলে বেওয়ারিশ মানুষদের অনেক উপকার হবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম
 
				












