বাংলাধারা ডেস্ক »
চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের শিকার ৫৬ জনের মৃত্যুর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট শী জিন পিং সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মারাত্মক।
চীনের হুবাই প্রদেশে করোনাভাইরাসের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। হেনান ও সাংহাইয়ে একজন করে , হুবাইয়ে ৩২৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে।
হুবাই এর উহান সিটি থেকেই করোনাভাইরাসের সূত্রপাত। এটি বেজিং পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু ও ৬৮৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।
সরকার জানিয়েছে হংকংয়ে ৫ জন, মেকাওয়ে ২জন, তাইওয়ানে ৩ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, নেপাল অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও কানাডায় ও আক্রান্তের খবর রয়েছে। কানাডায় ৫০ বছর বয়সী একজন যিনি সদ্য উহান থেকে ফিরেছেন। ফ্রান্সে তিনজনকে শনাক্ত করা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২ জন তাও চীন থেকে ফেরা।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, উহান কন্সুলেটের কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য বিমানে সংরক্ষিত আসনে করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
ইউকে ফরেন অফিস উহানে ভ্রমণকারিদের বলেছে, আপনি যদি সক্ষম হন তাহলে এলাকাটি ছেড়ে আসুন । প্রায় ২০০০ বৃটেন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের মাঝে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত চীনে ২০০০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানকারী একজন চিকিৎসক যার বয়স ৬২ তিনিও করোনাভাইরাসের নির্মম শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তার নাম লু ইইডং। হংকং ভাইরাস ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে।
মূলত ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে পড়েছে চীনের উহান শহরে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













