৩০ অক্টোবর ২০২৫

বদলি নিলেন কর্ণফুলী ইউএনও; আসছেন প্রবীর কুমার রায়

কর্ণফুলী প্রতিনিধি » 

চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ কর্ণফুলী থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বদলি হয়েছেন।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রন্জন সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়।

বদলি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

একই আদেশে প্রবীর কুমার রায়কে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

অপরদিকে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত অন্য একটি প্রজ্ঞাপনে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা বেগম নেলীকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নতুন ইউএনও ৩১তম বিসিএস (প্রশাসন) কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায়ের নিজ জেলা চাঁদপুর। এর পূর্বে তিনি রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার ইউএনও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এক আদেশে তাঁকে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলায় বদলির আদেশ করা হলে তা বাতিল করে নতুন করে কর্ণফুলী উপজেলায় পদায়ন করা হয়।

সদ্য বদলি হওয়া ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ

২০১৮ সালের ১৯ আগষ্ট খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার সদর ইউএনও হতে কর্ণফুলী উপজেলায় বদলি হলেও কর্মস্থলে যোগদান করেছিলেন ২০১৮ সালের ৩০সেপ্টেম্বর। তথ্যমতে, পুনরায় ১ বছর ৪ মাস ৭ দিন পর তিনি বদলি হলেন।

জানা যায়, সৈয়দ শামসুল তাবরীজ কর্ণফুলী উপজেলায় তৃতীয় ইউএনও হিসেবে যোগদান করে অল্প সময়ে সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি ও আস্থা অর্জন করেছিলেন। কেননা তিনি নিজেকে সরকারি কর্মকর্তায় আবদ্ধ না রেখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, প্রচার বিমূখ এই অফিসারের বহু মানবিক কাজের মধ্যে ছিলো উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তানদের নিজ বেতনের টাকা দিয়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করিয়ে দেওয়া। ২০১৯ সালের ১লা এপ্রিল চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী অন্ধ মহিলা দেলোয়ারা বেগমকে ব্যক্তিগত বেতন থেকে ভাঙাঘর সংস্কার করার জন্য ৩ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান।

এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসাসহ পুরা উপজেলার ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ খরচে কেক বিতরণ। এমনকি গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে ব্যক্তিগত খরচে উপজেলার প্রায় ৪’শত এতিম শিশুদের নিয়ে এক বেলা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা। গত রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লাগাতার ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সহনশীল রাখায় সাধারণ মানুষের খুব প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন