বাংলাধারা প্রতিবেদন »
শনিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকার দুই সিটির ভোট গ্রহণ শুরু হবে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা।
এদিকে নগরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। টহল, তল্লাশী চলছে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মতে, গত মধ্যরাত থেকে মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর বিরুদ্ধে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।
কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে রাজধানীকে। বৃহস্পতিবার থেকেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য। সেই সঙ্গে মাঠে আছে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও রিজার্ভে রয়েছে আরো ১০ প্লাটুন। এছাড়া র্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ হিসেবে রয়েছে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। প্রস্তুত আছে বোম্ব ও ডগ স্কোয়াড। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমান্ডো বাহিনী ও হেলিকপ্টার টিমকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তৎপর রয়েছে। তাৎক্ষণিক শাস্তি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে ১২৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে ভোটের পরদিন পর্যন্ত। শনিবার ভোট চলাকালে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হবে যেসব কেন্দ্রগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডিএমপি’র সব ডিসি নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কঠোর হওয়ার জন্যও জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্র ও এর আশপাশে যেকোনো ধরনের সহিংস কার্যক্রম দমন করা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













