বাংলাধারা ডেস্ক »
ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া কোন পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সেসব খাতা শনাক্ত করে আলাদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষভাবে তা মূল্যায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি আরও বলেন, সারাদেশে ৫২ হাজার কক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫টি কক্ষে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরীক্ষার প্রথমদিন প্রশ্নপত্র বিতরণে এ ভুল হয়। যদিও নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন বিতরণ করার আগে তা আলাদা করা শিক্ষকদের দায়িত্ব। পরীক্ষার্থীরও প্রশ্ন পাওয়ার পর একনজর দেখলে ভুল ধরা পড়ে। কিন্তু এটি পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষককে দেখে প্রশ্ন বিতরণ করার কথা থাকলেও সেখানে ভুল করা হয়েছে। এমন ভুল কেউ অমনোযোগী হয়ে করেছে, নাকি তা ভুলে হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন শিক্ষকের অমনোযোগিতা ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাইড থেকে হুবহু এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য প্রায় ৬ হাজার সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এরমধ্য থেকে নির্বাচন করে ২ হাজার ৮৯০টি সেট প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়। এ জন্য অনেক মডারেটর কাজ করেছেন। তাই কে ভুল করেছেন তৎক্ষণাৎ বিষয়টি শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
পাঠ্যবইয়ের অতিরিক্ত নোট ও গাইড বই বন্ধ করতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থায় নোট গাইডের প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের নোট-গাইড পড়ার প্রয়োজন হয় না। অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি সরকারের ভাবনায় আছে।
মন্ত্রী বলেন, গাইডের অনেক প্রশ্ন কমন পড়তে পারে, তবে তা হুবহু মিলতে পারে না, তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধ শনাক্ত করার পর সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের বিপুল জনশক্তিকে দক্ষ করে তুলতে কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি করে কারিগরি কোর্স চালু করা হবে। বর্তমান সরকার ২০২১ ও ২০৪১ সালের কাঙ্ক্ষিত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তির দক্ষতা বাড়াতে চায়।
দীপু মনি বলেন, এমপিও যাচাই বাছাই চলছে যা শিগগিরই চূড়ান্ত হবে। গত বছরের জুন থেকেই তালিকাভুক্ত শিক্ষকরা সুবিধা পাবে বলে জানান তিনি। এছাড়া, কারিগরীতে ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে যার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাউপমন্ত্রী মাহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হাসান, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুন্সি শাহাবুদ্দিন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













