বাংলাধারা ডেস্ক »
চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই রোগের আনুষ্ঠানিক নাম দেয়া হয়েছে কোভিড-১৯।
জেনেভায় হু’র প্রধান টেড্রোস অ্যাঢানম গেব্রেইসাস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এখন রোগটির একটি নতুন নাম রয়েছে আমাদের কাছে। সেটি হলো কোভিড-১৯ (COVID-19)। এটি করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।’ এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১১শ ছাড়ানোর পর এই ঘোষণা এলো।
ডাক্তার গেব্রেইসাস বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আগ্রাসীভাবে এই নতুন ভাইরাসের মোকাবেলা করার জন্য।
করোনাভাইরাস শব্দটি রোগ সৃষ্টিকারী নতুন ভাইরাসটিকে উল্লেখ না করে ঐ গ্রুপের সব ভাইরাসকে ইঙ্গিত করে। তাই এ রোগের নাম পাল্টানো হলো।
ভাইরাসের নাম প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব ট্যাক্সনমি অব ভাইরাসেস এই ভাইরাসটিকে সার্স-সিওভি-২ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।
কোনও বিশেষ গ্রুপ অথবা দেশকে কেন্দ্র করে যেন ভীতি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক একটি নাম দেয়ার জন্য শুরু থেকেই আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন গবেষকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘আমাদের এমন একটি নাম খুঁজতে হয়েছে যেটি কোনো বিশেষ ভৌগলিক অঞ্চল, কোনো প্রাণী, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দিকে ইঙ্গিত করে না, পাশাপাশি যা সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং নতুন ভাইরাসটির সাথেও যার সম্পর্ক আছে। একটি নির্দিষ্ট নাম থাকলে ভুল বা অপবাদসূচক কোনও নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা সম্ভব। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটলেও একটি নাম থাকলে সেটিকে নির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।’
নতুন নামটি তৈরি করা হয়েছে ‘করোনা’, ‘ভাইরাস’ ও ‘রোগ’ শব্দগুলো থেকে। ২০১৯ দ্বারা রোগটির ছড়িয়ে পড়ার বছর বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ CO দিয়ে করোনা, VI দিয়ে ভাইরাস, D দিয়ে ডিজিজ এবং 19 দিয়ে ২০১৯ সালকে নির্দেশ করা হয়েছে।
চীনে বর্তমানে ৪২ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ২০০২-২০০৩ সালে সার্স মহামারিতে হওয়া মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত কেবল চীনেই মারা গেছে ১১০৫ জন। এছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছে করোনায় আক্রান্ত আরও দুইজন। এমএ/
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ












