ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি »
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মেঘনা নদীতীরের লালপুরে শুঁটকির খ্যাতি এখন বিশ্বময়। দেশের বিভিন্ন এলাকার ভোজন রসিকদের চাহিদা পূরণ করে এখানকার শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। কোন প্রকার স্বাস্থ্যহানিকর উপাদান মেশানো ছাড়া ফরমালিনমুক্ত দেশী প্রজাতির মাছ থেকে এ শুঁটকি উৎপাদন করায় এর স্বাদ হয় আলাদা। তাই এই শুঁটকির সুনামও রয়েছে দেশ-বিদেশে। ফলে প্রতি বছরই এখান থেকে বিদেশে রপ্তানী হয় হাজার কোটি টাকা মুল্যের শুঁটকি।
আশুগঞ্জ লালপুর মেঘনা নদীর তীরে পুরোদমে শুরু হয়েছে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরনের কাজ । নদী থেকে মাছ ধরে এনে এভাবে রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু শুঁটকি।
আর এসব শুঁটকি দেশের চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হয় বিদেশে। ভারত, নেপাল, সৌদী আরব, গ্রীস ,আমেরিকা, লন্ডনসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানী হয় এখানে উৎপাদিত শুঁটকি। বিদেশে এই শুঁটকির কদরও রয়েছে অনেক। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার শুঁটকি এই মেঘনার পার থেকে সরবরাহ করা হয়।
তবে এখানে শুঁটকি উৎপাদনকারীদের প্রয়োজন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা। স্থানীয় আড়তদার বা মহাজনদের নিকট থেকে চড়া সুদে দাদন হিসাবে তাদের পুঁজি সংগ্রহ করতে হয়। তাই কম সুদে জামানতবিহীন ব্যাংক ঋণ প্রদান করা হলে শুঁটকি উৎপাদন বহুগুণে বেড়ে যেতো এবং এসব প্রন্তিক উৎপাদনকারীদের ভাগ্যের পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতো বলে জানান শুঁটকি উৎপাদনকারীরা।
তবে আশুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, প্রান্তিক শুঁটকি ব্যবসায়িদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এই কর্মকর্তা। কম সুদে জামানতবিহীন ব্যাংক ঋণ প্রদান ও সরকারি ভাবে সহযোগিতার করার দাবি জানিয়েছে এখানকার শুঁটকি উৎপাদনকারীদের উক্ত মৎস্য কর্মকর্তা।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













