অমর একুশে
একুশ মানে…
আমার মাতৃ মুখের বুলি —
যঠরে ঐতো মোর শ্রুতঅঞ্জলী।
তাবৎ রক্ষায় গুনেছি ভাতৃ বলি,
জ্যন্ত যতো অস্থি-মজ্জা-খূলী–!
একুশ মানে……..
৫২ সালের সেই–
রাজপথ কাঁপানো ঢাকা,
বিশ্ববিদ্যালয় সহ কতো যে
ভাইয়ের আত্মবলি’র রক্তগঙ্গা’য় মহাপ্রলয়ের পরিণাম।
একুশ মানে……..
পশ্চিমা হায়েণার ক্ষুধার্থ শিকার,
ভয়ঙ্কর যুদ্ধে রক্তগঙ্গায় করেছি কূপোকাত, বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে-
এনেছি বিজয় মুকুট–!
সেই তো সূচনা করেছি
মোরা স্বাধীনতার সোপান–!
বিশ্ব মাঝে জানিয়ে
দিয়েছি বীর বাঙ্গালী–
বাঁচতে শিখেছে দীক্ষা নিয়েছে- “মাথা নত না করার”।
একুশ মানে……..
বাঙগালীর বিশ্ব বিজয় দ্বার,
গর্ভজাত হিষ্যা যতো মুক্ত-
করবো তাবৎ বাঙ্গালীয়ানা’র !
অটুট রাখবো আত্মমর্যাদা,
প্রস্তুত মোরা আপাদমস্তক– এঁকে দিবো প্রতীকী রেখা !!
একুশ মানে……..
বাঙ্গালীর নেয়া সমুদয়
জাতি সত্ত্বা’র মুক্তির শপথের
ঐতিহাসিক ত্যেজোদ্বীপ্ত শিখা।
একুশ মানে……..
বাঙগালী জাতি স্বকীয়তার
অমর প্রেরণাধার—!!
একুশ মানে……..
আমার মায়ের অনুপ্রেরণা,
তাবৎ সম্প্রদায় সদাশয় —
জাগ্রত পাহারায়, দৃপ্ত ক্ষীপ্রমনা।
মাতৃদেসণাই মোদের হাতিয়ার-
একুশ যোগায় তার উম্মাদণা,
বীরত্ব মুকুট না হলেও শহীদী– বাসনা’ই তার যুদ্ধে যাবার–(!)
হ্যাঁ, এটাই আদেশ ছিলো–
মাতৃদেবতা প্রীতিলতা কী
পূজ্য সম সূর্য্য দাদা’র !!
অবশেষে আমি চাই–
আগাচৌ. স্যার এর ঐ–
অমর কাব্যে গর্জে উঠুক বাঁশি।
অটুট থাকুক মাতৃভূমি —
দূর হোক যতো কূচক্রী সন্ত্রাসী,
তবুও রে ভাই অটুট থাকুক —
মায়ের মুখে চিরচেনা সেই হাসি !!
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













