৪ নভেম্বর ২০২৫

ঘোষণা ছাড়াই রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিল ডিপো মালিকেরা

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

বাড়তি মাশুল আদায়ের দাবিতে কোনো ঘোষণা ছাড়াই রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয় ডিপো মালিকেরা। তাই ডিপোগুলোর সামনে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য আটকা পড়তে শুরু করেছে।

বুধবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে চট্টগ্রামের ১৮টি কনটেইনার ডিপোতে তিনটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কনটেইনারে কোনো রপ্তানি পণ্য বোঝাই করা হচ্ছে না। 

যে তিনটি কোম্পানির কনটেইনারে রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে, সেগুলো হলো ডেনমার্কভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিপিং লাইন মায়ের্সক, হংকংভিত্তিক গোল্ড স্টার লাইন এবং ওরিয়েন্ট ওভারসিজ কনটেইনার লাইন। 

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের আনুমানিক ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ এই তিন প্রতিষ্ঠানের কনটেইনারে করে বিদেশি ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রথমে রপ্তানিমুখি কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ১৮টি ডিপোতে রপ্তানি পণ্য এনে কনটেইনারে ভরা হয়। এরপর ডিপোর গাড়িতে করে বন্দর নিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচির কারণে সিংহভাগ রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেল।

জানতে চাইলে গোল্ড স্টার লাইনের স্থানীয় প্রতিনিধি ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইনের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনো কনটেইনারে রপ্তানি পণ্য বোঝাই করছে না ডিপোগুলো। হঠাৎ করে এই কর্মসূচির কারণে ডিপোগুলোর সামনে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য আটকা পড়তে শুরু করেছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে কনটেইনার ডিপো মালিক সমিতি বা বিকডার সভাপতি নুরূল কাইয়ূম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সংগঠনের সহসভাপতিও ফোন ধরেননি।

বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি এম এ সালাম বলেন, ডিপোর মালিকদের মতো ব্যবসায়ী সংগঠন কীভাবে মাশুল আদায়ের জন্য রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে পারে? কিছুদিন আগে গাড়িশ্রমিকদের জন্য একবার রপ্তানি পণ্য পরিবহন কয়েক দিন বন্ধ ছিল। এখন করোনভাইরাস নিয়ে সংকট চলছে। এ অবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচি রপ্তানি খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

সূত্র: প্রথম আলো

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ