নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা »
লামায় পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে সাবেক মহিলা মেম্বার ও তার ছেলেকে গুরুতর আহত করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পার্শ্ববর্তী লোকজন।
বুধবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ হায়দারনাশী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, হালিমা হোসেন (৪৮) স্বামী- মো. হোসাইন ও সাকিবুল হাসান (১৬) পিতা- মো. হোসাইন উভয়ে দক্ষিণ হায়দারনাশী এলাকার বাসিন্দা।
আহতদের তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ভর্তি দেন এবং তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় আহত হালিমা হোসেনের ছেলে রবিউল হাসান বাদী হয়ে ৯ জনকে বিবাদী ও অজ্ঞাতনামা অনেকজন উল্লেখ করে লামা থানায় অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদীর মা হালিমা হোসেন নতুন বাড়ি করতে ইট ও রড ক্রয় করার জন্য চকরিয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়। তখন বিবাদীরা তাদের বাড়ির উপর দিয়ে হাঁটাচলা করতে নিষেধ করে। সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না বলে কথা কাটাকাটি করে। এক পর্যায়ে তারা আমার মাকে চুলের মুটি ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। আর হাতে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকার ব্যাগটি এবং ১ জোড়া কানের স্বর্ণের দুল, গলার চেইন (যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়।
‘আমার মা বাঁচাও বলে চিৎকার করলে আমার ছােট ভাই সাকিবুল হাসান ছুঁটে আসে। তারা তাকেও ছুরি ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও আমার পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে লামা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’
‘পরবর্তীতে বিবাদীরা আমাদের হাঁটা চলার ক্রয়কৃত জায়গাটি তার কাটার বেড়া দিয়ে দেয়। এতে করে আমরা উক্ত রাস্তা দিয়ে হাঁটা চলা করতে পারছি না। এতে করে আমরা গৃহবন্দী হয়ে পড়েছি। বিবাদী মনজুর আলম পিতা- মৃত সোলতান আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পিতা- মনজুর আলম, এস্তফা বেগম স্বামী- সাইফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম পিতা- অজ্ঞাত, শাহেনা বেগম স্বামী- মনজুর আলম, কুলসুমা বেগম পিতা- মনজুর আলিম, মহি উদ্দিন পিতা- খুইল্যা মিয়া, ফাতেমা বেগম পিতা- মনজুর আলম ও ইয়াছমিন আক্তার পিতা- মনজুর আলম আমার মা ভাইয়ের উপর হামলা করে। সকলে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী এলাকার বাসিন্দা।’
হালিমা হোসেনের আরেক ছেলে মো. আতিকুল হাসান বলেন, আমার মা ও অন্য দুই ভাই লামা হাসপাতালে। বাড়িতে আমি ও আমার বোন আছি। গভীর রাতে বিবাদীরা আমাদের বাড়ির বাহিরে ঘোরাফেরা করছে। আমি সাইফুলকে ঘুরতে দেখেছি। তারা দরজায় ঠকঠক করছে। আমাদের ভয় লাগছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিবাদী মনজুর আলমের মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিবাদী অন্যান্যরা বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. সফিউল আলম বলেন, দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ থাকতে বলা হয়েছে। সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ত্রিদিব সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হালিমা হোসেনের চলাচলের রাস্তাটি খুলে দেয়। এই বিষয়ে দুই পক্ষকে বসে সমাধানের জন্য সময় বেঁধে দেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ
				












