৩০ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারে সবধরনের পরিবহন বন্ধ, অকারণে বের হলেই জরিমানা

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

করোনা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার জেলায় সকল ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। অকারণে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে নিরাপত্তা ছাড়া বের হলে তাকে গুনতে হবে জরিমানা। আড্ডা দিলে কিংবা দলবদ্ধভাবে ঘুরলেও পেতে হবে শাস্তি।

এদিকে যান ও জনচলাচল নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে মহড়া অব্যহত রেখেছে সেনাবাহিনী-পুলিশ। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, জনগণকে সচেতন করতে গত কয়েকদিন ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ, মাইকিং এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিলি করা হয়। তারপরও দেখা গেছে জনগণ দলবদ্ধভাবে ঘুরছে, অকারণে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। এছাড়া টমটম, সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও রিকশা চালকরা নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই গাড়ি চালাচ্ছেন। এদের এমন আচরণে কক্সবাজারের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল চন্দ্র বণিক বলেন, বুধবার ৬২ জন ট্রাফিক পুলিশ সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেছে। বিনামূল্যে ২০০টি মাস্ক চালকদের মাঝে দেয়া হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখনো মোটরসাইকেলে তিনজন চড়ছে। টমটম চালকের পাশে লোক নিচ্ছে। রিকশায় উঠছে দুজন। কিংবা মাস্ক ছাড়াই চলাচল হচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে নতুন পরিকল্পনায় আমরা মাঠে নামছি।

পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আজ সারা জেলায় ১৪টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এসব চেকপোস্টে দুই শিফটে ২৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে। গণপরিবহন আইন অনুযায়ী আজ থেকে রাস্তায় এম্বুলেন্স, ওষুধ এবং খাবারের গাড়ি ছাড়া কোন ধরণের যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না। পাশাপাশি আজও আমরা ১০০টি মাস্ক চালকদের মাঝে বিতরণ করব।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, মানুষকে সচেতন করতে পুলিশের পাশাপাশি পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন এবং একদল স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। কিন্তু কিছু মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করানো যাচ্ছে না। এবার তাদের জন্য আইনের প্রয়োগ করা হবে। জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় জেলাব্যাপি গণপরিবহন বন্ধে ট্রাফিক পুলিশের ঘোষণা শোনার পর নাম প্রকাশ না করার শর্তে টমটম ও রিক্সার একাধিক চালক বলেন, গাড়ির চাকা না চললে পরিবার-পরিজনের পেটের চাকাও চলে না। সরকারের তরফ থেকে দু’বেলা ডাল-ভাতের সংস্থান করা হলে আমরা রাস্তায় নামতাম না। আগে থেকেই আমরা ধোলাবালির মাঝে অনিরাপদ চলে আসছি। এখন হঠাত করে নিরাপত্তায় মাস্ক ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহারে আমরা অভ্যস্থ হয়ে উঠতে পারছি না। পথচারিরাও একই সমস্যায় রয়েছে বলে দাবি করেন তারা। এরপরও রাষ্ট্র ও পারিবারিক এবং সামাজিক নিরাপত্তার খাতিরে সরকারি নির্দেশনা পালন জরুরী বলেও মন্তব্য করেন চালকরা।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন