নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা »
জবরদখল ও লোভের বশবর্তী হয়ে বান্দরবানের লামায় সৃজনশীল বাগান ও খামার-বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে নিজের সর্বস্ব দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা বাগানটি খামার ঘরসহ জ্বলে যাওয়ায় চরম ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন, বাগান মালিক আবুল কালাম (৫৬)।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার প্রার্থনা করে আমি বৃহস্পতিবার লামা থানায় অভিযোগ করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কালাম লামা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কলেজ গেইট (নুনারঝিরি) এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগান মালিক আবুল কালাম লামার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম মুরুংঝিরি আগাস্থ (শামুকঝিরির আগা) ২৯৪নং দরদরী মৌজার হোল্ডিং নং-৪১০, ১৭২, ৩৭০ ও ১৫১৮ এ ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে ২০ একর জায়গার মালিক। উক্ত জায়গায় বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের বাগান সৃজন করে প্রায় ১৮ বছর যাবৎ ভোগদখলে আছে। উক্ত বাগানের উপর পার্শ্ববর্তী আব্দুল আজিজ (৬০) পিতা- মৃত ইউনুছ আলী, আল আমিন (২৫) পিতা- এনায়েত, হাফেজ (৩০) পিতা- মৃত আব্দুল কুদ্দুছ, আবুল হােসেন (৬০) পিতা- তফেজ গাজী, মো. খলিল (৫২) পিতা- চাঁন মিয়া হাজী, রাশেদা বেগম (৪৫) স্বামী- আব্দুল আজিজ ও কহিনুর বেগম (৫০) পিতা- মৃত চাঁন মিয়া হাজী এর লোভ পড়ে। তারা সকলে রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বর্ণিত জায়গা জবরদখল করার পায়তারা করে আসছে।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল ৮টায় বিবাদীগণ সংঘবদ্ধ হয়ে মুরুংঝিরি আগাস্থ আমার নামীয় ২৯৪নং দরদরী মৌজার হোল্ডিং নং- ৪১০ ও ১৭২ এর জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে খামার ঘর হইতে ১০ বান টিন (যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা), ২০ ফুট কাঠের বাটি (যার মূল্য ৭ হাজার টাকা), ৬টি দা (যার মুল্য ৩ হাজার টাকা), ১৫ কেজি পেরাক (যার মূল্য ২৫শত টাকা) ২টি খন্তা (যার মূল্য- ১ হাজার টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি করে যাওয়ার সময় বিবাদীগন আমার উক্ত খামার ঘরটিতে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খামার ঘরটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে আমার ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এই সাথে বাগানের অনেক গাছপালা পুড়ে যায়।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কালাম বাদী হয়ে লামা থানায় একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













