বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট কমাতে ১৯টি বেসরকারি ইনল্যান্ড কন্টেইার ডিপোতে (আইসিডি) ৬ ধরনের আমদানি পণ্য সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এনবিআর’র দ্বিতীয় সচিব মেহরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ আদেশ ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। অনুমোদন দেওয়া ৬টি পণ্য হচ্ছে সব ধরনের বীজ, ফাইবার, ওষুধ প্রশাসনের ব্লক লিস্টেট পণ্য, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা সুতা, টায়ার কর্ড ও কীটনাশক জাতীয় পণ্য। বর্তমানে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্য সহ ৩৮ ধরনের পণ্য আইসিডি থেকে খালাস দেওয়া হয়।
একই দিন এনবিআর আরেকটি আদেশ জারি জরে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে যেসব পণ্য ঢাকা কমলাপুরের বন্দর এবং রেলওয়ের যৌথ মালিকানাধীন আইসিডিতে নিয়ে যাওয়া হয় সেসব পণ্য নৌপথে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডে নিয়ে যাওয়া হবে।
কমলাপুর আইসিডিতে ৪ হাজার টিউজ (২০ ফুট সাইজের) কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন ৬২ টিউজ নিয়ে ৬টি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করতো এই রুটে। গত কয়েকদিন ধরে কমলাপুর আইসিডিতে দুই দিনে একটি করে ট্রেন পরিচালনা করে রেল কর্তৃপক্ষ।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্য ডেলিভারি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়। এই সংকট নিরসনে গত ১৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে বন্দর চেয়ারম্যানসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ ওই সভায় তাদের মতামত দেন। এর প্রেক্ষিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে সংকট নিরসনে সুপারিশ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এনবিআরকে এই বিষয়ে অনুরোধ করে। এই প্রেক্ষিতে কন্টেইনার জট কমিয়ে আনতে দুটি আদেশ দেয় এনবিআর।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ












