৪ নভেম্বর ২০২৫

বেঁচে থাকার জন্য ঘরে থাকা, তবে বাঁচার জন্যই জীবিকা

শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »

জীবনের পথচলা গুলো হয়তো রুপকথার গল্পের চেয়ে কম কোথায়!কখনো হতাশা কখনো নিরাশা আবার কখনো মেঘের আড়ালে সূর্যের হাসা। এইতো জীবন।এটার চেয়ে বড় কথা এমন সময় আর কখনোই আসে নি।আত্মজীবনী গুলো থেকে জেনেছি বন্দি জীবনের যন্ত্রণা তবে অনুধাবন হয় নি।তাই তো সময় এখন বন্দী হয়ে বসে থাকার।তবে কি তাতে মিলছে সমাধান!বেঁচে থাকতেই ঘরে থাকা তবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন জীবিকা।

রকিবুল হাসান নামে মানুষটি দু-মুঠো অন্নের সন্ধানে নিত্যদিন ছুটে চলতো সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে।পরিবারটিতে একমাত্র মা ছাড়া তেমন কেউ নেই। বছর খানেক আগে দুই বোনকে দিয়েছেন বিবাহ। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ কিংবা ১০০০ টাকার মধ্যে যা আয় করতো তা দি চলে যেতো সংসার। করোনায় গত কয়েক সপ্তাহের লক ডাউনে থমকে গিয়েছে রকিবুলে আয়ের পথ। মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ মুহুরী প্রজেক্ট রোডে সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের অন্বেষণে ছুটে চলতেন রকিবুল। পুলিশ সেনাবাহিনীর টহল আরো জোরদার হওয়ায় ঘরে বসে নিরুপায় হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে এই রকম রকিবুলের মতো আরো এই সড়কটিতে সিএনজি অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা আরো ২২০ জন চালককে।

জীবন নাকি জীবিকা। এক কঠিন সমীকরণের দারপ্রান্তে এসে নিজেদের ক্ষুদা নিবারণের কষ্ট গুলোকে কাউকে বলার জন্য ও সুযোগ পান না অনেকেই।কারণ আত্মসম্মানটাই যে আরো বড় সমীকরণ।সবকিছু ঠিকঠাক তারপর যেন ও বোবাকান্না।সাদা ভাতের হাঁড়ি গুলো খালি পড়ে থাকে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলোর পরিবারে।কবে দূর হবে নিঃস্তব্ধ চিৎকার কবে থামবে রকিবুলের মতো শ্রমজীবী মানুষগুলোর হাহাকার!

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন