বাংলাধারা ডেস্ক »
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে দেশেই উৎপাদন হচ্ছে ভেন্টিলেটর। তবে এসব ভেন্টিলেটর পেতে কমপক্ষে দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে। কারণ যন্ত্রপাতি আমদানি করার পর ভেন্টিলেটর তৈরি করে তা পরীক্ষা-নীরিক্ষায় জন্য লাগবে সময়। তবে পুরো প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে।
পলক বলেন, ভেন্টিলেটরের গুণগত মান যাচাইয়ে জোর দিচ্ছে সরকার। ভেন্টিলেটরের যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানীর পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে যাতে পরীক্ষা শেষ হয় সে বিষয়টিও সরকারের নজরে রয়েছে বলে।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠান ভেন্টিলেটর তৈরিতে সক্ষম হলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে মূল্যবান এই যন্ত্রটি রপ্তানিরও সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি এই সংকটকালে দেশের অর্থনীতিতেও এই পণ্য অবদান রাখবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি ৬ জনের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে, প্রয়োজন হয় ভেন্টিলেটরের। করোনার ব্যাপক সংক্রমণে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এখন ভেন্টিলেটর সংকট।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, দেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১২শ ভেন্টিলেটর আছে। আরো ৩শ ভেন্টিলেটর মেশিনের আমদানী প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্ভাব্য করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে অন্যান্য দেশের মতো এবার ভেন্টিলেটর উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রটি উৎপাদনে কার্যক্রম শুরু করেছে।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক লিয়াকত আলী জানান, উৎপাদনে যাবার পর দিনে সর্বোচ্চ ৫শটি ভেন্টিলেটর তৈরির সক্ষমতা রয়েছে তাদের।
জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে ভেন্টিলেটর তৈরিতে আমদানি করা হচ্ছে যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে ভেন্টিলেটর তৈরির কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে। এসব ভেন্টিলেটর সরকারি পরীক্ষার পর অনুমোদন পাওয়া গেলেই শুরু হবে বানিজ্যিক উৎপাদন।
কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে দেশে তৈরি ভেন্টিলেটর সরবরাহে মে মাস পার হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













