বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ৫ থেকে ৭ মে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি থাকতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (১ মার্চ) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়া, বিজলী চমকানো হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি/ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী বর্ষণসহ বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলান, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও ব্জ্রবৃষ্টিসহ স্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব অঞ্চলের নদীবন্দর সমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, ৩০ এপ্রিলের কাছাকাছি সময় দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছের স্থানে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, অর্থাৎ শনিবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পরিণত হতে পারে। এটি ৩ থেকে ৫ মে তারিখের মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার–চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে আঘাত হানতে পারে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম
				












