৩ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারি বেড়েছে

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস এলোমেলো করে দিয়েছে মানুষের জীবন-জীবিকা ও দেশীয় অর্থনৈতিক অবস্থা। চট্টগ্রাম বন্দরে করোনা প্রথম ধাক্কা দেয়ার পর, দ্বিতীয় ধাক্কা দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। করোনা, আমফানের প্রভাব ও ঈদের ছুটির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে নেমে এসেছিল স্থবিরতা। সম্প্রতি তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারি বেড়েছে।

জানা যায়, এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। মে মাসে হ্যান্ডলিং হয়েছে দুই লাখ চার হাজার ৮০১ টিইইউস (২০ ফুটের কনটেইনার)। এর মধ্যে আমদানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার এক লাখ দুই হাজার ১৭৮ এবং রপ্তানিপণ্যের এক লাখ দুই হাজার ৬২৩ টিইইউস।

সূত্র জানায়, করোনাকালে সরকারি ছুটির ৫৬ দিনে ২৬ মার্চ থেকে ২০ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছে তিন লাখ ১৯ হাজার টিইইউস কনটেইনার। একই সময়ে বন্দরে এক কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে। এই ৫৬ দিনে বন্দরে খাদ্যপণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ মেট্রিক টন। এ ছাড়া রমজান উপলক্ষে আমদানি করা ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ইত্যাদি হ্যান্ডলিং হয়েছে ৮৬ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি সাধারণ ছুটির শেষ পর্যায়ে সীমিত আকারে তৈরি পোশাক কারখানা চালু হওয়ায় কাঁচামালের কনটেইনার ডেলিভারি বেড়েছে। পাশাপাশি রমজানের অত্যাবশ্যকীয় কিছু পণ্যের কনটেইনার ডেলিভারিও হয়েছে মে মাসে। এ ছাড়া এবার ঈদে কলকারখানায় ছুটি বেশি দিন দেওয়া হয়নি। এর ফলে দ্রুত খুলেছে কারখানাগুলো।  

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ২৬ মার্চ ছুটি শুরুর সময় থেকেই বন্দরের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখার নির্দেশনা থাকলে পণ্য সরবরাহে জটিলতা এড়ানো যেত। তবে লকডাউনের মধ্যেও যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি করে বাজারে সরবরাহ করছেন, তাদের কারণেই আজ পর্যন্ত বাজারে পণ্যের সরবরাহ সংকটে পড়েনি।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, করোনাকালেও জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে ২৪ ঘণ্টা সাত দিন বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সচল ছিল। বন্দরের ডেলিভারি নির্ভর করছে আমদানিকারকদের ওপর। যত বেশি পণ্য আমদানি হবে, ডেলিভারি নেবে, তত বেশি হ্যান্ডলিং হবে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন