২৮ অক্টোবর ২০২৫

লামায় ঘুমন্ত বৃদ্ধাকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা

লামা প্রতিনিধি »

লামায় গভীর রাতে ঘুমন্ত এক বৃদ্ধ নারীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৭ জুন) রাত ৩টায় লামা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের রাজবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বৃদ্ধ নারী ফাতেমা বেগম (৫৫) রাজবাড়ি এলাকার ওমর আলীর স্ত্রী। গুরুতর আহত ফাতেমা বেগমকে রাত ৪টায় লামা সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।

লামা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, আহতকে ধারালো কিছু দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করা হয়েছিল। বুকের উপরে গলার নিচে অনেকটা কাটা গেছে ও প্রচুর রক্তখনন হয়েছে। অপারেশন করা প্রয়োজন বিধায় তাকে কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে৷

ফাতেমা বেগম এর বড় ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩২) বলেন, রাতে মা আমার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম ইমনকে নিয়ে বারান্দায় ছোট ভাই জাকের হোসেন আকাশের খাটে ঘুমায়। রাতে ছোট ভাই জাকের হোসেন আকাশ (১৯) ঘরে ছিল না। রাত আনুমানিক ৩টায় দুর্বৃত্তরা বারান্দার জানালার হুক খুলে ঘরে প্রবেশ করে। দুর্বৃত্তরা মূল ঘরে ডুকে আকাশের স্কিন টার্চ মোবাইলটি নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বারান্দার খাটে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার মা ফাতেমা বেগমকে সম্ভবত আকাশ ভেবে জবাই করার জন্য ছুরি চালায়। চেতন পেয়ে আমার মা লাফিয়ে উঠে খুঁনিকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দেয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি দুর্বল হয়ে পড়ে। আমি রাতে রান্না ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। চিৎকার শুনে আসতে আসতে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমাদের সাথে কারো কোনো শত্রুতা নাই। তবে আমার ছোট ভাই জাকের হোসেন আকাশ এর সাথে পার্শ্ববর্তী চরুবিল এলাকার মো. ইউনুচ ও আছিয়া খাতুনের মেয়ে রুমানা আক্তারের সাথে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা চলমান আছে। সে মামলায় আকাশ জেল খেটে এখন জামিনে আছে। আমাদের ধারনা আকাশকে হত্যার উদ্দেশে এসেছিল দুর্বৃত্তরা। আমরা দুর্বৃত্তদের কাউকে চিনতে পারিনি।

রাতে ফাতেমা বেগম এর সাথে ঘুমায় তার নাতি রিয়াজুল ইসলাম ইমন (৯)। ইমন বলেন, যে আমার দাদীকে জবাই করতে আসে তার গায়ে সাদা টি-শার্ট ছিল। দুর্বৃত্তরা ৪ জন ছিল। প্রথমে জানালা দিয়ে একজন ঘরে ডুকে দরজার হুক খুলে দেয়। তারপর আরেকজন ঘরে ডুকে। বাকী দুইজন বাহিরে ছিল। আমরা কাউকে চিনতে পারিনি। ধস্তাধস্তির সময় খুঁনি তার জুতা পেলে যায়।

এদিকে খবর পাওয়া মাত্র, ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে লামা থানা পুলিশ। লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বৃদ্ধ মহিলার ছেলে মো. কামাল হোসেন থানায় এসেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ দিন আগে লামা সদর ইউনিয়নের চিউনীমুখ এলাকায় আরেক নারীকে একইভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন