বর্ণচোরা
ক্ষীণশোকে কল্পলোকে
অল্প ভাবেন যারা,
তেপান্তরে ঘুরে ঘুরে সর্বমুখে
রটাতে ঐ লুটিয়ে পাগল পারা।
এই তো শুরু —-
ভাতৃত্বে পড়লো ঘুনে ধরা,
গভীর শোকে আসলটা’কে
আঁচ করেছেন যারা,
নাওয়া-খাওয়া, চাওয়া-পাওয়ার
অনুভূতি হারিয়ে পাগল পারা।
কেউ তাহাদের লক্ষ্য করেন
প্রায় অলক্ষ্যে, চোখে মুখে —
আবার কেউ ধারে না ধার,
কেউ বা আবার ব্যস্ত তাদের
এই না বুঝি সঠিক সময়,
খেই হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন
শোধ নিতে তার পূর্ব শত্রুতার।
এমন সময় সেসব লোকের
ভূল হয় না মোটে’ই,
সরলমনা আপন জনার সনে
আত্মভোলা নিষ্পাপ ঐ মনে
কূ-মানসে কূ-মন্ত্রণায় আত্মস্ত
যায়গা তাহার খুব সহজে জোটেই
ক্ষণস্থায়ী বর্ণচোরা’র দলে
যারাই থাকুক ভাই —
সিদ্ধ হস্তে, কূ-মতলবে,
কীইবা তাহার সফলতা ?
এমন সকল ছলেবলে —!!
বাস্তবতা ঠিক জবাব নিয়ে
বীর দর্পে দাঁড়িয়ে মারবে হাঁক,
আত্ম ভোলার চোখ খুলে যায়
দুঃস্বপ্নের বিভোর হতে ঘুরে দাঁড়ায়
হুঙ্কারে তাই ভয়ঙ্কর সব ডাক !!
ততোক্ষণে বিচক্ষণ ঐ বর্ণচোরা
সিদ্ধ হস্ত, সুবিন্যস্ত চোরাবালির বাঁকে
বেগতিক ঐ বাস্তবতায় দিশেহারা
ঠিক সময়ই সে পালিয়ে যায়
মনুষ্যত্বের নেই তো বালাই —-
লজ্জা শরম এড়িয়ে ঠিকই লোকচক্ষুর ফাঁকে !!
আত্মভোলা, মন সরলা
নিজ হতে সে আপনা মনে
দাঁড়িয়ে খোলে নিজ জানালা,
আপনা হতে লজ্জিত ও সঁঙ্কোচনে ছুঁড়ে দিয়ে মনের ময়লা
খুঁজে ফিরেন হারিয়ে যাওয়া —-
সেসব আপন জনের ভীত্,
যে করে হোক ভূলের মাশুল
কিসে উসুল (?), সহায় সম্বল নাই
অন্তত: ভাই অতীতের ঐ
কূ-মন্ত্রণার দুঃখ প্রকাশ করিবো কিঞ্চিৎ ..!
দুশমনে কি করলো তাহা
হোক বা না হোক, সেই সুরাহা,
রক্ত, বদলায় পরজনে প্রয়োজনে, কীবা রোগ দূষণে !
কিন্তু ভাই কী বদল হয় (?)
জন্ম যদি সঠিক তাহার,
উপরে সকল নিষ্ঠুরতার ঐ ভেদাভেদ ঘটবে ঠিকই ঘন আবেগ, হৃদ কাঁপানো, মনভোলানো অশ্রুসজল
মেলে দিয়ে মাতৃ আঁচল —
ঘটবে পরিনয় —— !
ইতিহাসের তীক্ত অতীত
উল্টে দেখি বারে বারে —
একই কথা কয় —- !!













