পটিয়া প্রতিনিধি »
পটিয়ায় করোনা রোগীদের জন্য অস্থায়ীভাবে ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য পটিয়া হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের নির্ধারিত স্থানটি প্রস্তত করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জুন) হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নির্দেশ অনুসারে হাসপাতালের নির্ধারিত এ ওয়ার্ডের ২০টি শয্যা ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) পটিয়ায় মারাত্মক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। সম্প্রতি সময়ে এর ভয়াবহ বিস্তার লাভ করায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি পেয়েছে। পটিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় আপদকালীন পটিয়া হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডকে অস্থায়ী কোভিড আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্দেশের পর পুরোদমে এগিয়ে নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এখানেই যেকোনো সময় করোনা পজিটিভ রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
এ নিয়ে পটিয়ার জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। তারা বলেন, ‘করোনা মহামারিকালে মানবতার বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে মাননীয় হুইপের প্রশংসনীয় ও সময়োপযোগী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ সুচিকিৎসা সেবা দিতে আমরাও পাশে থেকে সহযোগিতা করব।’
এদিকে পটিয়াবাসীর কল্যাণে হুইপের সার্বিক সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে বলে জানান তার রাজনৈতিক শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ইতোমধ্যে এ আইসোলেশন সেন্টারের জন্য শয্যাসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তত করেছে পটিয়া হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ।
এ ব্যাপারে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী জানান, বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতিতে পটিয়ায় একটি আইসোলেশন সেন্টারের খুবই প্রয়োজন ছিল। তাই পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডকে ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে চালু করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ আইসোলেশন ইউনিটে ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, ক্লিনার ও বাবুর্চিসহ বিভিন্ন পদে সরকারি জনবল ও সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। আলাদা করে বাইরে আইসোলেশন সেন্টার করতে গেলে হঠাৎ করে এসব জনবল পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে প্রাথমিকভাবে ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে শয্যার সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
তিনি আরো জানান, এস আলম গ্রুপের সার্বিক সহযোগিতায় পটিয়ায় করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বুথের ব্যবস্থা করা হবে। পটিয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. জবেদ জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসেবে পটিয়ায় সোমবার পর্যন্ত ১৭ জন নতুন রোগীসহ ১৮৭ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল রোববার পর্যন্ত ৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













