শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »
সরকার নির্দেশিত সবকিছু মেনে যাত্রী পরিবরহণ নিয়মনীতি মেনে চলার কথা বলা হলেও অনেকটা শুভঙ্করের ফাঁকির মতো এই নির্দেশনা মেনে চলছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে যায় দেখা যায়, দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার দৃশ্য। উপজেলা প্রবেশদ্ধার বারইয়ারহাট পৌর বাজার থেকে প্রতিদিন মিঠাছড়া, মিরসরাই, বড় দারোগার হাট, সীতাকুন্ড, বাড়বকুন্ড, চট্টগ্রাম শহর, সমিতি বাজার, মুহুরী গঞ্জ, ফেনীর উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় লেগুনা এবং বিভিন্ন মিনিবাস পরিবহন। প্রত্যেকটি সিটে ২ জনের পরিবর্তে ১ জন এবং ভাড়া বৃদ্ধির সাথে অপরিবর্তিত রয়েছে দাঁড়িয়ে যাত্রী বহনের রীতিনীতি। পরিহার হয় নি দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার অভ্যাস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরা, গ্রীণটাউন সার্ভিস, লেগুনা সহ বিভিন্ন লোকাল পরিবহন গুলোতে দাঁড়িয়ে, ঝুলিয়ে যাত্রী এবং গা ঘেঁষে যাত্রী পরিবহনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
উপজেলার মিঠাছড়ার বাসিন্দা জাহেদ হাসান বলেন, করোনার এই সময়ে বাস চালকদের দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার অভ্যাস পরিহার করা উচিত। কেননা করোনা যদি দাঁড়িয়ে থাকা কোনো যাত্রীর শরীরে বাসা বাঁধে, সেখান থেকে তা চারদিকে ছড়িয়ে যাবে অতি সহজেই।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম ধুম বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদিন জানান, আমরা মালিক সমিতি সাথে একটি বৈঠকে বাস চালক সমিতির সকল কর্মকর্তা এবং সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছে যে কোনো ভাবেই দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন যেন না করা হয়। এছাড়া অনেক যাত্রী জোরপূর্বক বাসে দাঁড়িয়ে যেতে চায় তখন আমাদের করার ও কিছু থাকে না।
যাত্রী না নেওয়ার যেমনি আগের এই অভ্যাস পরিহার করতে বাস চালকদের ঠিক অপরদিকে নির্দেশনা মেনে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে বাসে না ওঠার ও প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে যাত্রী সাধারণের।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













