বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ডিম ছাড়ার পর মা মাছের খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়, আর এই সুযোগে জালের পরিবর্তে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে স্থানীয়রা। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বড়শি দিয়ে হালদার মা মাছ শিকার করায় একজনকে জরিমানা করা হয়।
শনিবার (১৩ জুন) পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
রুহুল আমিন বাংলাধারাকে জানান, হালদায় তেমন জাল নাই কয়েক সপ্তাহ ধরে। হঠাৎ গতকাল রাতে খবর পেলাম রাতে মাছ ধরে। এবার জাল না, তারা ব্যবহার করছেন বড়শি। বিশেষজ্ঞরা জানালেন, ডিম ছাড়ার পর মা মাছের খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়, এই সুযোগে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে।
তিনি বলেন, আজ সকালে গিয়ে দেখি ছিপাতলী ইউনিয়নের হালদা নদীর মোয়াজ্জেম খান বাড়ি টেক এলাকার সাবেক মেম্বার নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুচ সোহেল (তার দলবলসহ) হালদার পাড়ে বড়ছি দিয়ে মাছ ধরছেন। আমাদের দেখে শিকারিরা ৬টি বড়শি ফেলে পালালেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানালেন, বড়শি দিয়ে তারা ১১ কেজি ওজনের একটা কাতল মাছ ধরেছে। পরে মাছটি ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে। যিনি কিনেছেন তার খোজ নিয়ে মাছ উদ্ধার করা হলো। তারপর চেয়ারম্যান সাহেবের সহযোগিতায় মাছ শিকারিকে ধরে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও মুচলেকা নেয়া হয় এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান এর জিম্মায় দেয়া হয়। পরে মাছটি হালদা রিসার্চ ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অভিযানে ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু সার্বিক সহযোগিতা করেন বলে জানান তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













