বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের পুরো এলাকা লকডাউন হচ্ছে। মঙ্গলবার ১৬ জুন মধ্যরাত ১২টার পর থেকে শুরু করে ২১ দিনের জন্য এই লকাডাউন কার্যক্রম হবে। সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় চট্টগ্রামের ১০টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই জোনে থাকা নগরের ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে আগামী ১৬ জুন থেকে লকডাউন কার্যক্রম শুরু হবে। তবে নগরের ওয়ার্ডগুলোতে পর্যায়ক্রমে লকডাউন কার্যকর করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে লকডাউন চলাকালে উত্তর কাট্টলী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা থাকবে। কেউ ওই ওয়ার্ড থেকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারবেন না, কেউ প্রবেশও করতে পারবেন না। এমনকি ওষুধের দোকানও বন্ধ থাকবে। আর পুরো এলাকার লোকদের সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে করোনা বিস্তারের প্রথম থেকেই কাট্টলী এলাকায় প্রচুর রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। কাট্টলীতে শতাধিক শিল্পকারখানা রয়েছে। প্রথম দিকে একটি গার্মেন্টস কারখানার এক কর্মকর্তার শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তারপর স্থানীয় অনেকের পুরো পরিবার আক্রান্ত হয়েছিল। তখন শুধুমাত্র আক্রান্তদের বাসস্থান লকডাউন করা হয়েছিল। এবার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো ওয়ার্ডই লকডাউন করলো।
এছাড়া নগরীতে ‘রেড জোন’ ঘোষিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১০নং উত্তর কাট্টলী, ১৪নং লালখান বাজার, ১৬নং চকবাজার, ২০নং দেওয়ান বাজার, ২১নং জামালখান, ২২নং এনায়েত বাজার, ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড, ৩৭নং উত্তর মধ্যম হালিশহর, ৩৮নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত সরকারের কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে চট্টগ্রাম নগরীর ১০ এলাকাকে রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোচনার ভিত্তিতে সবার আগে ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সভার সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মিলে এসব জোনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে লাল এলাকা চিহ্নিত করবেন। রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসনের বাড়তি তদারকি ও নজরদারি থাকবে। অনেক বেশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পারবেন না, বাইরের কেউ ঢুকতে পারবেন না। রেডজোনের করোনা আক্রান্তরা আইসোলেশনে থাকবেন। তাদের সংস্পর্শে আসা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের জরুরী ওষুধ ও খাদ্যপণ্য প্রশাসন পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৪ দিনে প্রতি লাখে ৬০ জন মানুষ আক্রান্ত হলে সেই এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তারপরও সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপার সম্মিলিতভাবে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন দিতে পারবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













