বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচিতে আবারও পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে সারা দেশে ২টা পর্যন্ত লেনদেন এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। রেড জোনে সাধারণত ব্যাংক শাখা বন্ধ থাকবে। তবে সীমিত জনবলে প্রধান কার্যালয় খোলা রাখা যাবে ৪টা পর্যন্ত। আর রেড জোনে কোনো শাখা খোলা রাখার বিষয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেন এবং দেড়টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
অবশ্য বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত মতিঝিল, দিলকুশা, আগ্রাবাদ ও খাতুনগঞ্জ রেড জোনের আওতাভুক্ত হলেও ২টা পর্যন্ত লেনদেন এবং ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাসের বেশি সাধারণ ছুটির মধ্যে সীমিত আকারে ব্যাংক লেনদেন চলছিল। তবে সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ায় গত ৩১ মে স্বাভাবিক লেনদেন চালু হয়। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন এবং সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকছে। শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রেড জোনে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন এবং চারটা পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে মঙ্গলবার থেকে আবার নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে, দেশে কার্যরত ৫৯টি ব্যাংকের মোট শাখা রয়েছে ১০ হাজার ৫৮৭টি। এর মধ্যে শহরে আছে ৫ হাজার ৫৫৯টি। আর গ্রামে ৫ হাজার ২৮টি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। তখন অনেক শাখা বন্ধ ছিল। বিশেষ কওে অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধার ব্যাংকগুলো অনেক শাখা বন্ধ রেখেছিল। তবে ধীরে-ধীরে শাখা খোলার সংখ্যা ও লেনদেনের সময় বাড়িয়ে রমজান মাসে বেলা লেনদেন এবং চারটা পর্যন্ত খোলা রাখতে বলা হয়। সাধারণভাবে অন্য সব বছর রমজান মাসে আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হয়।
ব্যাংক খোলা রাখা ও লেনদেন করার ক্ষেত্রে আগেই বেশ কিছু নিয়ম পরিপালন করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে অফিসের কর্মপরিবেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আর করোনাভাইরাসের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সন্তান সম্ভাবা নারীর কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত ১৩টি নির্দেশনা পরিপূর্ণভাবে পরিপালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অফিসে যাতায়াতের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













