বাংলাধারা ডেস্ক »
করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি পাওয়া যাবে গরুর শরীর থেকে। আর তা দিয়েই চিকিৎসা করা হবে করোনা রোগীদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা অঞ্চলের একটি বায়োটেক প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা এমনই একধরনের গরুর জেনেটিক নকশা করছেন। আগামী গ্রীষ্মেই এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘সায়েন্স’ ম্যাগাজিনের এক প্রবন্ধে এমন তথ্যই জানা গেল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন রোগের অ্যান্টিবডি পেতে এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা জিনগতভাবে নকশা করা কোষ বা তামাক পাতা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ২০ বছর আগেই দুধ উৎপন্নকারী প্রাণীর শরীর থেকে অ্যান্টিবডি তৈরির পরীক্ষা শুরু করে সাউথ ডাকোটার এসএবি বায়োথেরাপিউটিকস। এজন্য তারা জিনগতভাবে নকশা করা এ সব গাভীর শরীরে ভাইরাসটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করায়। এই গাভীগুলোর কোষে এমন ডিএনএ থাকে যা ভাইরাসগুলোর সংস্পর্শে এসে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। পরে এই অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে প্রবেশ করালে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
এসএবি বায়োথেরাপিউটিকস এই ওষুধটির কয়েকশ ডোজ তৈরি করেছে। এই ওষুধটির নাম হলো এসএবি-১৮৫। আগামী গ্রীষ্মেই এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কতোজনের শরীরে এই ওষুধটি প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে এখনো কোনো ধরনের তথ্য জানানো হয়নি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
এসএবি বায়োথেরাপিউটিকসের সিইও এডি সুলিভান জানান, পরীক্ষাগারে এই প্রাণীগুলো (গাভী) এক ধরনের নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। যা করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে। আমরা এই ওষুধটি নিয়ে ট্রায়ালে যেতে চাই। করোনা রোগের সমাধানের আশায় সম্ভাব্য এই ওষুধটি নিয়ে কাজ করছি আমরা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডি সুলিভান জানান, সাধারণত অন্যকোন প্রাণীর চাইতে আকারে বড় হওয়ার কারণে গরুর শরীরে প্রচুর রক্ত উৎপন্ন হয়। জিনপ্রকৌশলের মাধ্যমে উৎপাদিত এইসমস্ত গরুর রক্ত মানুষের শরীরের অনুরূপ প্রোটিন সমন্বয় করতে পারে অনেক দ্রুত। আর শুধু তাই নয়, এই গরুর রক্তে প্রতি মিলিলিটারে মানুষের রক্তের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













