২৯ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে নতুন গ্যাস সংযোগ; ভাগ্য খুলছে গ্রাহকদের

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

দীর্ঘদিন পর আবাসিকে (বাসা-বাড়ি) পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৌখিক সম্মতিও মিলেছে। তাই দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা চট্টগ্রামের ২৫ হাজার গ্রাহকের ভাগ্য খুলছে। একই সাথে আরো অন্তত লক্ষাধিক গ্রাহক পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গ্যাস বিতরণের জন্য ছয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হলো তিতাস, কর্ণফুলী, পশ্চিমাঞ্চল, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও সুন্দরবন। এরমধ্যে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি এ পর্যন্ত কোনো সংযোগ দেয়নি।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যিকে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিকেও নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মে আবাসিকে সংযোগ দেয়া শুরু হলেও কিছুদিন পর তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামে ৬ লাখের মতো আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। এর বাইরে আরো অন্তত লাখ খানেক গ্রাহক গ্যাস নেয়ার জন্য আগ্রহী বলে আমরা মনে করি। এরমধ্যে প্রায় ২৫ হাজারে মানুষের আবেদনই আমাদের কাছে জমা রয়েছে। যাদের অনেকেই ডিমান্ড নোটের টাকা পরিশোধ করেছেন।

তিনি বলেন, এলএনজি আমদানি হওয়ার প্রেক্ষিতে এখন দেশে গ্যাসের কোন অভাব নেই এবং নির্দিষ্ট পরিমাণের এলএনজি ব্যবহারের একটি চুক্তিও সরবরাহকারীদের সাথে সরকারের রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত গ্যাসের চেয়ে কম গ্যাস ব্যবহার করলে সরকারকে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই অবস্থায় আবাসিকে গ্যাসের সংযোগ প্রদান করলে এলএনজি ব্যবহার পুরোপুরি সুনিশ্চিত হবে।

দেশে মোট ব্যবহৃত গ্যাসের অন্তত ১৫ শতাংশ আবাসিক খাতে ব্যবহৃত হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আবাসিক খাতে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস আবাসিক খাতে ব্যবহৃত হয়। আরো লাখ খানেক গ্রাহক যদি সংযোগের আওতায় আসে তাহলে এই ব্যবহার ৪৬/৪৭ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হতে পারে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন