বাংলাধারা প্রতিবেদন »
আগামী ৫ আগস্ট শেষ হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) চলতি মেয়াদ। এদিকে চসিক নির্বাচন নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌছতে পারে নি নির্বাচন কমিশন। কাজেই মেয়াদ শেষ হবার আগে নতুন পরিষদ নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই আইন অনুযায়ী প্রশাসক দিয়ে করপোরেশনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার কথা ভাবছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারাই ব্যবস্থা করবে পরবর্তী নির্বাচন।
স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এ বলা হয়েছে, ‘কোন সিটি করপোরেশন মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে, সরকার, সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত উহার কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, চসিকের বর্তমান পরিষদের মেয়াদ একেবারেই শেষের দিকে। এর মধ্যে যদি নির্বাচন করা সম্ভব না হয় তাহলে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী চট্টগ্রামে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার কোন সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তরা জানান, গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভোট স্থগিত করে ইসি। এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। করোনার কারণে এ সময়ের মধ্যে ভোট হচ্ছে না।
আইনের ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল মতে, ২৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ১ মার্চ। ৮ মার্চ ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। ৯ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের মাঠে ছিলেন প্রার্থীরা।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটের মাঠে রয়েছে ৭ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ছাড়াও আছেন আরও ৫ জন প্রার্থী এবং ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান। চট্টগ্রাম সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৪১টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৪টি। মোট ভোটার ১৯ লাখ দুই হাজার ৮১১ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৭২১ এবং ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ১৪২টি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













