২৮ অক্টোবর ২০২৫

নকল স্বর্ণের বার দিয়ে প্রতারণা, আটক ৫

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন ধোপার দীঘিরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩২ টি নকল স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলো- মোঃ জসিম উদ্দিন (৪২), মোঃ ওসমান ওরফে রুবেল (২৯), মোঃ সোলাইমান (৩৫), মোঃ ইদ্রিস (৫৮) ও মোঃ আবু জাহেদ (৩৬)।

র‌্যাব-৭ জানায়, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন ধোপার দীঘিরপাড়ে অবস্থিত জম জম সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিপরীত পাশে ভাই ভাই স্টোরের সামনে নকল স্বর্ণের বার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সিএনজি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে এমন খবর পেয়ে গত ২৫ জুলাই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেহ তল্লাশী করে ৩২ টি নকল স্বর্ণের বার, ৯ টি শিরিষ কাগজ, ৩ টি টেষ্টার, ১০ টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১ টি তাতাল, ১ টি রেত, ১ টি নোজ প্লায়ার্স, ১ টি প্লায়ার্স, ১ টি অটো রেঞ্জ, ১ টি হেক্স ফ্রেম, ২ টি হেক্স বেড, ১ টি গহনার বক্স, ১ টি হিট সীল, ৬ টি নাট, ৫ টি বফ সাবান টুকরা এবং ১ টি রেঞ্জ উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত একে অপরের যোগসাজশে নকল স্বর্ণের বার তৈরি করে পরবর্তীতে যাত্রীবাহী সিএনজি বা অটোরিক্সায় যাত্রী বেশে নিরীহ জনগণকে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে ধোকা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা বিভিন্ন কৌশলে গল্প ফেঁদে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। কৌশলের অংশ হিসেবে তারা রিকশা, ভ্যান বা অটো চালিয়ে যাত্রী পরিবহন করে। বাহনে আগে থেকেই প্রতারক চক্রের ২/১ জন সদস্য বসা থাকে। বাহনে সাধারণ যাত্রী উঠার কিছুক্ষণ পরে চালক হঠাৎ করে তাদের বলে, “ভাই/আপা, আমি পড়ালেখা জানি না। আমার চাচা চিঠিসহ এই বক্সটা আমাকে দিয়েছেন/আমি বক্সটা কুড়িয়ে পেয়েছি। দেখেন তো কী লেখা আছে?”

যাত্রীরা প্রতারণাপূর্ণ চিঠিটি পড়ে মনে করে পিতলের তৈরি বারটি আসল সোনার বার। তখন ওই চালক এবং ছদ্মবেশী অন্য সদস্যরা যাত্রীদেরকে নকল বারটি কিনতে উদ্বুদ্ধ করে। যাত্রীরা ফাঁদে পড়লে বারটি কিনে নেন অথবা তাদের কাছে থাকা আসল গহনার বিনিময়ে নিয়ে প্রতারিত হন। একইভাবে তারা নিজেরাই বারটি রাস্তায় ফেলে নিজেরা কুড়িয়ে নিয়ে পেয়েছি বলে চিৎকার দিয়ে সাধারণ পথচারীদের প্রতারিত করে। এছাড়াও তারা সাধারণ যাত্রী/পথচারীদের চেতনানাশক মলম ব্যবহার করে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নেয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন