গিয়াস উদ্দিন, পটিয়া »
চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া পৌরসভার থানার মোড়স্থ পটিয়া আদালতের জজের জন্য নির্ধারিত বাসভবন অবহেলায় এবং সংস্কারের অভাবে ভেঙেচূড়ে বিরান ভূমি পরিণত হয়েছে। এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ১৯৮৫ সালে। জজের জন্য নেই কোন নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাও।
পটিয়া আদালতের জজের সরকারি বাসভবন সংস্কারের অভাবে দিনের পর দিন পরিত্যক্ত অবস্থায় মশা-মাছি আর ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। গত ৩/৪ বছর আগেও জরাজীর্ণ আবস্থায় ছিল। সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে ভেঙে গিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জজের বাসভবন ভেঙে পড়ে এখন ওই স্থানে পরিত্যক্ত পতিত বাড়ির মতো ঘাস লতাপাতা আগাছায় পূর্ণ হয়ে আছে। দেওয়াল তো অনেক আগেই ভেঙে পড়েছে। জজের বাস ভবনের গেইটের সামনে গড়ে উঠেছে কার-মাইক্রোবাসের পার্কিং স্টেন্ড। বাসভবনের চারিদিক স্যাতস্যাতে বসবাসের অযোগ্য ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজমান। পরিবেশ এবং প্রতিবেশ দু’টোই নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন শুধু ভবনের স্তম্ভগুলো ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

দেখা যায়, এখানে প্রতি রাতে কোনো না কোনো মাদক সেবী মাদক সেবন করছে। কোনো কোনো সময় দেখা যায় মানসিক বিকারগ্রস্থ লোক এখানে রাত্রী যাপন করছে। আবার বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ এখানে শেয়াল-কুকুরের বাসস্থানে পরিণত হতেও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি দীপক কুমার শীল বলেন, পটিয়া আদালতে সাতটি চৌকি আদালত আছে। তম্মোধ্যে দুটি ছাড়া বাকী পাঁচটি আদালতে বিচারক মামলা পরিচালনা করে আসছেন। চার জন বিচারক চট্টগ্রাম থাকেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট কলোনীতে বিচারকের জন্য নির্ধারীত বাস ভবনে থাকেন। বিচারকদের জন্য পটিয়ায় বাস ভবন থাকতো তবে বিচারকদের চট্টগ্রাম থেকে এসে বিচার কার্য পরিচালনা করতে হতো না।
তিনি আরো বলেন, ২০১০ সালে ২০ কোটি টাকায় ৬ তলা ভবন নির্মাণের একটি প্রস্তাব যায় মন্ত্রণালয়ে। পরে সেটি ১০ কোটি টাকায় তিন তলা ভবন নির্মাণ হওয়ার প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। কিন্তু ভবন হচ্ছে, হবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এখনো। কখন হবে সেটি আমরা জানিনা।
বিচারকদের বাস ভবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারকদের বর্তমান বাসভবনগুলো পরিত্যক্ত। সেখানে বসবাস করার কোন সুযোগ নেই। আদালতের ভবনের পাশাপাশি বিচারকদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা খুবই জরুর।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













