৩ নভেম্বর ২০২৫

গত এক বছরে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি : দোভাষ

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

‘এবার চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা হয়নি। কিছু জায়গায় জোয়ারের পানি উঠেছে। স্লুইচ গেট বন্ধ করে দিলে সেটার সমাধানও হয়ে যাবে। এই কাজটি বন্ধ ছিলো। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার শুরু করেছি। গত এক বছরে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।’

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগরীর নতুন মাস্টার প্ল্যান তৈরির কথাও জানানো হয়।

২০১৯ সালের এপ্রিলে সিডিএ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এম জহিরুল আলম দোভাষ। এ সময় তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে সিডিএ’র চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

সংবাদ সম্মেলনে দোভাষ বলেন, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন: খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ চলছে। সিডিএ’র মাধ্যমে প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর করছে। এ প্রকল্পে ৩৫ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৫০ শতাংশ ভৌতি অগ্রগতি হয়েছে।

সিডিএ’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।  

সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের সড়কটি ছিলো পুরো মাটির। সড়কটি আমি এখন কার্পেটিং করে টোল রোড দিয়ে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করেছি। এখন পর্যন্ত ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে এই প্রকল্পের। বাকি কাজ ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে শেষ হবে।

দোভাষ বলেন, বায়েজিদ বোস্তামি থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বাইপাস সড়ক হয়েছে। এই কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৮১ শতাংশ। ভৌত অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। এছাড়া বাকলিয়া এক্সেস রোড নির্মাণ প্রকল্পের কাজে ৮৩ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি হয়েছে। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ।  

তিনি আরও বলেন, লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়। মাঝখানে সেটা আটকে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার শুরু করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। সবমিলিয়ে এই প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৩৬ শতাংশ।

সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম বলেন, রাজস্ব খাত থেকে আমরা সল্টগোলায় একটি শপিং মলসহ আধুনিক বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছি। এই শপিং মলের ৯৭ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি শেষ হয়েছে। আর্থিক অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ।  

সিডিএ চেয়ারম্যান অনন্যা উপশহর প্রকল্প তৈরীর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। বলেন, সেটা আমাদেরকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে টাকা পেলে, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণ করবো। এখন জায়গা অধিগ্রহণ করার জন্য যৌথ জরিপ চলছে।

চট্টগ্রাম নগরীর নতুন মাস্টার প্ল্যান তৈরির কথাও জানান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ। বলেন, চট্টগ্রাম শহর নিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শিগগির শুরু হবে। মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এতে সব শ্রেণীর মতামত নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনসট্রাকশন বিগ্রেডের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবুল হাসনাত মো. সায়েম, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি শাহীনুল ইসলাম খান।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন