বাংলাধারা প্রতিবেদন »
বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এদিন বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক বেনটিং জন্ম নিয়েছিলেন এবং তিনি বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে একত্রে ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে নার্সের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের টাইপ-২ (শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি থাকে) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। খাদ্যাভাসে পরিবর্তন ও নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি সচেতনতা। আর এ কাজে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন নার্সরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, উদ্যোগী হলে নার্সরা ডায়াবেটিস সেবায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারেন। রক্ত পরীক্ষা, ইনসুলিন দেওয়াসহ নার্সরা যদি রোগীকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলগুলো শিখিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ডায়াবেটিস সেবায় ব্যাপক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দেশে হৃদরোগ, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস এসব সংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ ১ কোটি ১০ লাখ। ১৮-৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সংখ্যা ২৬ লাখ। আর ৩৫ বছর ও এর চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮৪ লাখ। প্রায় ৬০ শতাংশ নারী ও পুরুষ জানেনই না যে তাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
বাংলাধারা/এফএস/ওএস













