বাংলাধারা ডেস্ক »
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর সারাদেশে যোগাযোগর একটা ব্যাপক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। যার ফলে আজকে আামদের অর্থনীতির চাকা অনেক সচল এবং আমরা আরও অনেক কাজ শুরু করেছি। সেগুলো আমরা সম্পন্ন করব। এমনটা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২২ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে ‘বীরপ্রতীক গাজী সেতু’সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন মুড়াপাড়া ফেরিঘাট রাস্তায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ১০০০০ মিটার চেইনেজে ৫৭৬.২১৪ মিটার দীর্ঘ বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) সেতুটির কারণে বদলে যাচ্ছে পুরো রূপগঞ্জের চিত্র।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলাধীন মধুমতি নদীর ওপর এলাংখালী ঘাটে ৬০০.৭০ মিটার দীর্ঘ ‘শেখ হাসিনা সেতু’; যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় সড়ক ও জনপথের যশোর-খুলনা সড়কের ভাঙ্গাগেট (বাদামতলা) থেকে আমতলা জিসি ভায়া মরিচা, নাউলী বাজার সড়কে ভৈরব নদীর উপর ৭০২.৫৫ মিটার দীর্ঘ সেতু; এবং পাবনায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বর’ উদ্বোধন করেন। খবর : সারাবাংলা
উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন শেষে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রান্ত থেকে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ, যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। এর মধ্যে পাবনার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বর’ এ যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
রূপগঞ্জ প্রান্তে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ অন্যান্যরা যুক্ত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। পাবনায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্কয়ার গ্রুপের অঞ্জন চৌধুরী।
জাতির পিতার আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা-মা ভাই সব হারিয়ে রিক্ত নিঃস্ব হয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই আকাঙ্ক্ষাটা পূরণ করব, সেই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই হবে। যা আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তরিকভাবে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত জীবন দিবেন,তার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের মানুষ আসলে পারে যে কোনো কাজ করতে। এটি জাতির পিতাও বলে গেছেন। কাজেই সেভাবেই আমরা করেছি।’
উদ্বোধনকৃত তিনটা সেতু কিন্তু এই সমস্ত অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে বিশেষ অবদান রাখবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর সারাদেশে যোগাযোগর একটা ব্যাপক নেটওয়ার্ক আমরা গড়ে তুলেছি এবং যার ফলে আজকে আামদের অর্থনীতির চাকা অনেক সচল এবং আরও অনেক কাজ আমরা শুরু করেছি। সেগুলোও আমরা সম্পন্ন করব ইনশাল্লাহ।’
বাংলাধারা/এফএস/এআর













