কক্সবাজার প্রতিনিধি »
জলদস্যুতা ছেড়ে আত্মসমর্পণ করা ৯৬জন বন্দির জামিন দিয়েছে আদালত। তারা কক্সবাজারের উপকুলীয় এলাকার বাসিন্দা ও জলদস্যু হিসেবে আত্মস্বীকৃত।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র মতে, অন্য কোন মামলা না থাকলে আজ (৯ডিসেম্বর) তারা কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
জলদস্যুদের জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় মহেশখালীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এসব জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছিল। ওইসময় দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এসব জলদস্যুদের সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞ আদালত আইনি প্রক্রিয়া শেষে দীর্ঘ শুনানির পর মঙ্গলবার দুপুরে ৯৬ জন জলদস্যুকে জামিন দিয়েছে।
জামিন পাওয়া জলদস্যুরা হলেন, মহেশখালীর আইয়ুব বাহিনীর প্রধান আইয়ুব আলী, সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু শামা, কালারমারছড়ার আলোচিত জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়া, তার বাহিনীর মানিক, আয়াতুল্লাহ, আবদুস শুকুর, সিরিপ মিয়া, একরাম ও বশিরসহ ১৫জন।
কালামারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক শরীফের অনুসারী হিসেবে পরিচিত কালা জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য আবুল, সোনা মিয়া, জমির উদ্দীন বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।
মহেশখালীর নুনাছড়ির মাহমুদুল্লাহ বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আলী, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বদাইয়াসহ ১৫ জন, ঝাপুয়ার সিরাজ বাহিনীর প্রধান সিরাজ- উদ-দৌলাহ, নলবিলার মুজিব বাহিনীর প্রধান মজিবুর রহমান প্রকাশ শেখ মুজিব এবং কুতুবদিয়ার লেমশিখালীর কালু বাহিনীর প্রধান পিচ্চি কালু।তাদের মধ্যে জাফর আলমসহ ১৫-২০ জন অস্ত্র কারিগর রয়েছে।
আসামীদের পক্ষে কক্সবাজার জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ,
লিগ্যাল এইডের আইনজীবী মোকতার আহমদ, সেলিম উদ্দিন রাজু, রহমত উল্লাহ, রবিউল হোসেন, মোশারফ হোসেন টিটু, নুর সোলতান, নুরুল হুদাসহ অন্তত ১৫ জন আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অস্ত্র, গুলাবারুদসহ ১২ বাহিনীর ৯৬ জন জলদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ওইসময় জলদস্যুরা ১৫৫টি দৈশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৭৩ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয়।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













