৩১ অক্টোবর ২০২৫

একাকীত্বের গান ‘কেউ নেই’,আসছে আজ রাত ৮টায়

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

করোনাকালীন লকডাউনে ঘরোয়া স্মৃতিকে রোমন্থন করেই মুক্তি পাচ্ছে তরুণ শিল্পী সামিউল ফাহিমের নতুন গান ‘কেউ নেই’।

২০২০ সালের শেষ মুহূর্তে রাত ৮টায় ‘Samiul Fahim’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে ‘কেউ নেই’ শিরোনামে এই নতুন গান।

দুই তরুণের প্রচেষ্টায় জন্ম এই গানের। গানের ভোকাল ও মিউজিক প্রোডিউসারের দায়িত্ব পালন করেছেন সামিউল ফাহিম আর গানের কথা লিখেছেন ইফতেখার নিলয়। এই দুই তরুণ চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

মিউজিক ও গান সম্পর্কে সামিউল ফাহিম জানান, ‘একাকীত্বের নগরীতে এক পথ হারানো পথিক। সময়ের অভিশাপ আর জীবনের পরাজয় তাকে আজ এই শহরে নিয়ে এসেছে। সারা পথজুড়ে সে চিৎকার করে খুঁজে বেড়ায় তার হারিয়ে যাওয়া অস্তিত্বকে। সে ফিরে পেতে চায় তার হারানো সময়কে। অথচ কোথাও কোনো সাড়া নেই, কেউ নেই সেই শহরে। গানটি মূলত সেই হারানো পথিকেরই আত্মার পরিচায়ক। সাধারণত কোল্ডপ্লে, কোডালিন, ফিনেয়াস, দা উইকেন্ড, জন লিজেন্ড, লুইস কাপাল্ডি এই মিউজিশিয়ানস আর ব্যান্ডসগুলোর গান খুবই পছন্দ আমার । তাই অল্টারনেটিভ, ইন্ডে, কন্টেম্পরারি সোউল মিউজিক নিয়ে কাজ করা হয়। এই গানেও এম্বিয়েন্ট আর ওরকেষ্ট্রাল মিউজিক এর ফিউশান নিয়ে কাজ করেছি। আশা করি গানটি শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিবে।’

গীতিকার ইফতেখার নিলয় বলেন, ‘এই বছরের অভিজ্ঞতা একেবারেই অকল্পনীয়। কোয়ারেন্টাইনে ঘরে বসে সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলো। কেউ আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়েছে। মহামারিতে প্রিয়জনের প্রাণ চলে যেতে দেখেছে। স্বাভাবিক জীবনের চাল-চলনে ব্যাঘাত ঘটায় নিরামিষ এক সময় পার করতে হয়েছে। সবার রঙিন সময়গুলো ফিকে হয়েছে। সবার স্বপ্ন ফ্যাকাশে হয়েছে৷ অপ্রাপ্তির খাতা দীর্ঘ হয়ে জীবনে চাও বেড়েছে। অথচ সবাই এই বছরটাকে ঘিরে নানান পরিকল্পনা করে রেখেছিলো। কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। একা একা বসবাস করেই দিন কেটেছে। অস্তিত্বের পরিচায়ক মানুষগুলোর সাথেই সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা নেমেছিলো। যোগাযোগে সাবলিলতা নষ্ট হয়েছিলো। এই বিষাদগ্রস্ত, একাকীত্বের সময়গুলোর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ঠাঁই পেয়েছে গানের প্রতিটা লিরিকে।’

তাদের দু’জনের কাজ শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলেই তারা আশা করছেন। একসাথে দুজনের পথচলার সামনে আরো মসৃণ হবে বলেও বিশ্বাসী তারা।

বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ

আরও পড়ুন