বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ভোটযুদ্ধের প্রচারণায় শুক্রবার থেকে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র, সংরক্ষিত ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গতকাল (৮ জানুয়ারি) থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু করছেন প্রার্থীরা। দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে চট্টগ্রামকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত চট্টগ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে। নির্বাচনী প্রচারণাকালে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলবেন বলেও জানান তিনি। এসময় ভোটারদের নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী সম্পর্কে তিনি বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থী সরে গেছেন। আমি যেহেতু প্রার্থী এ ব্যাপারে আমার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। বিষয়টা দেখভাল করছেন কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পেশিশক্তিবিহীন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের মাটি সব সময় আন্দোলন-সংগ্রামের ঘাঁটি। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন যদি চসিক নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করে, তাহলে চট্টগ্রামের মানুষ পালটা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য আপনারা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন দিন। চট্টগ্রামের মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিন।
হজরত আমানত শাহ (র.) মাজার জিয়ারত শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া, নগর যুবলীগ নির্বাচন কমিটি কয়েকটি ওয়ার্ডে একযোগে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় ও নগর যুবলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে দামপাড়ার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
২৫ নং রামপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আব্দুস সবুর লিটন নির্বাচনী প্রচারণাকালে বলেন, পাড়ায় পাড়ায় এখন মাদকের আস্তানা। চলছে মাদকের ব্যবসা। আমি সারাজীবন এ দুটির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এসেছি। পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যারা মাদক ব্যবসা ও সেবন করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাধারা/এফএস/ এআর













