রাঙামাটি প্রতিনিধি »
রাঙামাটি শহরের এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে প্রেমের ছলে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ইমরান খাঁন মুন্না কলেজ গেইট এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উক্ত কিশোরী ও তার এলাকার লোকজন রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে মানববন্ধন ও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে। বিষয়টি নিয়ে নানাজনে ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি বলে উল্লেখ করেছে ভুক্তভোগী কিশোরী।
ভুক্তভোগী জানায়, অভিযুক্ত প্রতারক প্রেমিক বেকার থাকা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়ে আসলেও সম্প্রতি সে সরকারী নৌ-বাহিনীতে চাকুরি পেয়ে নিজেকে কিশোরীর কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার চেষ্টা চালালে ধর্ষণের শিকার কিশোরী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে উক্ত প্রতারক ইমরান খাঁন মুন্না কলেজছাত্রীকে বিয়ে করা সম্ভব নয় জানিয়ে নানা রকম হুমকি-ধামকি প্রদান করতে থাকে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে কিশোরী আরও জানায়, আমি অত্যন্ত গরিব ঘরের সন্তান। বিগত ৫মে ২০১৭ সালের দিকে এই নারী লোভী ইমরান খাঁন মুন্না আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও লোভ লালসা দেখিয়ে আমাকে চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামি মাজারে নিয়ে গিয়ে মাজারকে স্বাক্ষী করে পরস্পর ভালবেসে বিয়েতে আবদ্ধ হই। তখন আমার বয়স ১৮বছর পূর্ণ হয়নি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে ইমরান খাঁন মুন্নার চাকরি হয়। সে চাকরিতে যোগদানের পর আমাকে বলেন, আরো কয়েকটা দিন যাক তারপর তোমাকে ঘরে তুলে নিয়ে আসব। ২০১৭-২০২০ সালের মধ্যে দফায় দফায় বেশ কয়েক বার সে আমার সাথে দৈহিক মিলন করে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি এসে তার পরিবার তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে দেখছে এমন খবর আমি পেলে তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় এসব কথা মিথ্যা। পরে এক পর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। বিষয়টি নিয়ে আমি আমার পরিচিতজনদের অবহিত করি। এমতাবস্থায় আমি আত্মহত্যা করতেও চেষ্ঠা করেছি। বর্তমানে আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি।
অপরদিকে বিবাদীগণ আমার এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আমি ও আমার পরিবার পরিজনকে ঘিরে ১১-১২টি মিথ্যা মামলার অভিযোগ দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে বলেও জানায় ওই কিশোরী।
তাই এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে নারী লোভী ইমরান খান মুন্নাসহ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছে ভিকটিম।
সংবাদ সম্মেলনে উক্ত কলেজ ছাত্রীর বিভিন্ন স্বজনরা ছাড়াও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ













