বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তিনি একাধারে নির্মাতা, গায়ক, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার অর্থাৎ নানা গুণে গুণান্বিত এক ব্যক্তির নাম। সম্প্রতি তার নিজের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তির পর দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি সিনেআলোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পেয়েছে দেশ সেরা সিনেমার তকমা।
তবে এবার বইমেলাকে সামনে রেখে এই নির্মাতা নিয়ে আসছেন নিজের লেখা প্রথম উপন্যাস। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল জানান, আগামি বইমেলাতে তার প্রথম উপন্যাস ‘বাতাস কলের সিম্ফনি’ প্রকাশিত হতে চলেছে। উপন্যাসটির প্রচ্ছদও করেছেন লেখক নিজে।
উপন্যাসটি নিয়ে উজ্জ্বল আরো বলেন, আমাদের অস্তিত্ব সংকট এবং বঞ্চনা আর প্রতিশোধের গল্প হলো ‘বাতাস কলের সিম্ফনি’র মূল উপজীব্য। মেটাফোরিক ধাঁচের লেখা এটি। গ্রন্থটির প্রকাশক কিংবদন্তী পাবলিকেশন।
এর আগে ২০১২ সালের বইমেলায় উজ্জ্বলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অর্ধেক কথা, অর্ধেক একা’ প্রকাশিত হয়েছিল পার্ল পাবলিকেশন থেকে।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশীয় সিনেমা হলগুলো যখন খুলে দেয়া হয়, তখন নতুন ছবি হলে দেয়ার ঝুঁকি নেননি কেউ। সেই সময়ে গেল বছরের অক্টোবরে দেশীয় সিনেমায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তি দিয়ে সাহস দেখিয়েছিলেন নির্মাতা।
দ্রোহের মন্ত্রে ভালোবাসার কথা বলেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। কাজে। কর্মে। পরম ভালোবাসায় যে দ্রোহের মূর্তি তিনি এঁকেছেন তার সমস্ত সৃষ্টিকর্মে। ছবি থেকে গান কিংবা ভিজ্যুয়াল ফিকশনে। সব জায়গায়।
শুন্যের গোড়ায় সুমন, শিবুর (মেজবাউর রহমান সুমন ও শিবু কুমার শীল) সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছিলেন ‘মেঘদল’। এরপর আরো কতো কতো সৃষ্টি। নাটক, টেলিছবি আর বিজ্ঞাপনচিত্র! যে জীবন ফড়িংয়ের, ধুলোর মানুষ-মানুষের ঘ্রাণ, ফসিলের কান্না, কালো বরফ জমাট অন্ধকার কিংবা থতমত এই শহরের মতো বহু গল্প আর চরিত্ররা যে জীবন পেয়েছে তার হাত ধরে!
বাংলাধারা/এফএস/এআর













