২৯ অক্টোবর ২০২৫

ইয়াবার পর এবার মিয়ানমার থেকে আসছে ভয়ঙ্কর মাদক ‘আইস’ !

সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার প্রতিনিধি »

মরণ নেশা ইয়াবার পর এবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে আরেক প্রাণঘাতী ভয়ঙ্কর মাদক ‘আইস’। কক্সবাজারের টেকনাফে ২ কেজি আইস মাদকসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

বুধবার (৩ মার্চ) রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সদস্যরা উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সীমান্ত জোনের সহকারি পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা।

গ্রেফতারকৃত মো. আব্দুল্লাহ (২৮) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকায় এলাকার গোলাল নবীর ছেলে। এসময় আব্দুর রহমান নামে তার আরেক সহোদর পালিয়ে যায়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত জোনের সহকারি পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা জানান, মিয়ানমার থেকে মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথ এর চালান বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসার খবর আসে বুধবার। জাদিমুড়া এলাকায় দুই সহোদরের বাড়িতে আইসের চালান মজুদ রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুই কেজি আইস উদ্ধার করা হয়। এ সময় মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এসময় অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উদ্ধার করা ‘আইস’ আসল না নকল, তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় আসল ‘আইস’ বলে নিশ্চিত হয়। ইয়াবার পাশাপাশি এখন মিয়ানমার থেকে আনা হচ্ছে ‘আইস’। হ্নীলায় উদ্ধার হওয়া দুই কেজি ‘আইস’ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চালান। এর আগে ঢাকায় ৬০০ গ্রাম ‘আইস’ উদ্ধার করা হয়েছিল। আটক করা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে।

জব্দকৃত আইস মাদকের আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকা। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর টেকনাফ বিশেষ জোনের ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান।

মাদক আইস কি?

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, ইয়াবায় এমফিটামিন থাকে পাঁচ ভাগ আর ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের পুরোটাই এমফিটামিন। তাই এটি ইয়াবার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর মাদক। ইয়াবার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে মানবদেহে।


মাদকাসক্তি বিষয়ক গবেষক ও ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ইয়াবা বা হেরোইন হল ওপিয়ামের বাইপ্রডাক্ট। এগুলো থেকেই প্রসেস করে এখন নতুন নতুন মাদক তৈরি হচ্ছে। আইসও এমন একটি নতুন মাদক। তিনি বলেন, মিয়ানমার ও ভারতের বাইরে থেকেও কিছু লোক এর বিস্তারে কাজ করছে। আফ্রিকান অঞ্চলে এর নেটওয়ার্ক আছে।

আরও পড়ুন