কক্সবাজার প্রতিনিধি »
২৫ মার্চ বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে একটি ঘৃণ্য ও কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন উল্লেখ করে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির উপর হিংস্র দানবের মতো আক্রমণ চালায়। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় বহুল প্রতীক্ষিত মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এদেশের দারিদ্র পীড়িত মানুষকে মুক্ত করা। যেন বিশ্বের বুকে বাঙালি মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে। ক্ষুধা-দারিদ্র দুর করতে তিনি সেইভাবেই কর্মসূচি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার জন্য লড়তে গিয়ে তিনি দিনের পর দিন জেল খাটলেও কখনো মাথানত করেননি বঙ্গবন্ধু। হননি আর্দশচ্যুত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।কৃষক শ্রমিকের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টার ঋণ কিছুটা হলেও শোধ হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রামুর চৌমুহনী স্টেশনে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা আর তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নানা ষড়যন্ত্র ও অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার মূল কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত একযুগে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার অব্যাহত ধারা বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মূল্যায়নে গত এক দশকে তৃতীয় বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, দেশের এ চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের সব অপশক্তিকে পরাজিত করে সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের তৃণমুল থেকে উঠে আসা ত্যাগী সৎ যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহবান জানান তিনি।
রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডলের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি তপন বড়ুয়া, নুরুল আমিন মাষ্টার, রতন মল্লিক, মৃনাল বড়ুয়া, নুর হোসেন মেম্বার, নুরুল ইসলাম বকুল, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস রানা চৌধুরী, শেখ জুনায়েদ, বিপ্লব, নুরুল হক চৌধুরী, রামু উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদু রহিম, সাধারন সম্পাদক বাদল, চাকমারকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন সিকদার, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল বোরহান উদ্দিন শাহান, আবছার কামাল সিকদার, চেয়ারম্যান কামাল শামশু উদ্দিন প্রিন্স, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হক কোম্পানি, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, ঈদগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী নুরুল আলম, দক্ষিণ মিঠাছড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুচ্ছফা হেলাল, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকের আহাম্মদ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, গর্জনীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী, রশিদ নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বজল আহাম্মদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোহাম্মদ শাহীন, দক্ষিণ মিঠাছড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জোহর আলম, সাধারণ সম্পাদক রানা, রাজারকুল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি সরওয়ার কামাল সোহেল, গর্জনীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউছুপ মেম্বার, মারুফ চৌধুরী প্রমূখ।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ফিরোজ মিয়া, আবদুল মালেক সিকদার, ওবায়দুল হক, জহির আলাউদ্দিন, রহমত উল্লাহসহ ১১ টি ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্য সংগঠনে কয়েক হাজার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













