মো. সৈকত »
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির হার নির্ধারিত হয়েছিল ষাট(৬০) শতাংশ কিন্তু বাস্তবে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। বুধবার ( ৩১ মার্চ) সকাল থেকেই পুরো চট্টগ্রামে যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ শতাংশ বর্ধিত হারে ভাড়া আদায় করছে চালকরা।
করোনার প্রকোপ হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় সরকারী বিধি মোতাবেক যাত্রী সংখ্যা অর্ধেক নামিয়ে আনা হয় এবং সেই সাথে ভাড়া বর্ধিত করা হয়। বেশিরভাগ চালকরা যাত্রী সংখ্যা সীমিত রাখলেও সরকার নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়া না নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে ।
নয়াবাজার মোড় থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাড়া ৮ টাকা, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভাড়া হয় ১২.৫ টাকা কিন্তু আদায় করা হচ্ছে ১৫ টাকা। দেওয়ানহাট থেকে ওয়াসা মোড় পর্যন্ত পূর্বের ভাড়া ৫ টাকা হলেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা।
কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে ওয়াসা পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাড়া ১০ টাকা কিন্তু আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা যেখানে ভাড়া হওয়ার কথা ছিল ১৬ টাকা। আগ্রাবাদ থেকে দেওয়ান হাট ভাড়া ৫ টাকা হলেও আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা যেখানে ভাড়া হওয়ার কথা ছিল ৮ টাকা।
চট্টগ্রামের সকল রুটেই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ। করোনা মহামারীর এই সংকটকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করে নিচ্ছে চালক-মালিকরা।
কেন ভাড়া দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে ? এ প্রশ্নের উত্তরে বাংলাধারা নিউজকে দেওয়ান হাট রুটের এক চালক সেই পুরনো অজুহাত তুলে ধরে বলেন, যাত্রী সংখ্যা কম। সরকার যেই হারে ভাড়া বাড়িয়েছে তাতে আমাদের পোষাবে না। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি তাই দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছি।
চালকদের দ্বিগুণ ভাড়া আদায় নিয়ে এক যাত্রী বাংলাধারাকে বলেন, পরিবহন চালকরা সবসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যও তারা মানছে না। আমরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছি। আমাদের এই দুর্দশা দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের উচিত এদিকে নজর দেওয়া।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













