কক্সবাজার প্রতিনিধি »
বিপথগামী কিছু সদস্যদের ইয়াবা সংশ্লিষ্টতা ও অপরাধ কর্মের লাগাম টেনে বাহিনীর ইমেজ সংকট রোধ করতে গতবছর কক্সবাজারে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যকে একযোগে বদলি করে দেয়া হয়। একই সাথে পদায়ন করা হয় সমপরিমাণ নতুন সদস্যকে। নতুন আসা সদস্যদের কেউ কেউ পুরোনো সারথিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়ছে। কক্সবাজারের উখিয়ার ১৩ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (তানজিমারখোলা) দায়িত্ব পালন করা পুলিশের বিপথগামী তিনজনকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২এপ্রিল) রাতে ক্যাম্পে নিজেদের কক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ৮-এপিবিএনের সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ৯শ ৫৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৮(এপিবিএন) এর অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ৮ এপিবিএন কর্মরত এসআই সোহাগ ও দুই কনস্টেবল মিরাজ ও মো. নাজিম।
ক্যাম্পের স্থানীয় সূত্রজানায়, ক্যাম্পে দায়িত্বরত এসআই সোহাগ তানজিমার খোলা শরনার্থী ক্যাম্প-১৩ ব্লক-এ এর হেডমাঝি একরামকে (৩৮) ইয়াবা বিক্রি করতে চাপ দিয়ে আসছিলেন। হেডমাঝি একরাম বিষয়টি ৮ এপিবিএন সিনিয়র এএসপি কামরুল ইসলামকে অবগত করেন। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে সংশ্লিষ্টরা। সেটি জানতে পেরে হেডমাঝি একরামের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান এসআই সোহাগ। সেসব ঘটনা কানে গেলে অভিযোগের সাথে এসআই সোহাগ ও অন্যদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হন এপিবিএনের সিনিয়র কর্মকর্তারা। পরে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও জাল টাকাসহ আর্মড পুলিশের ওই তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৮ (এপিবিএন) এর অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। রাত ১০টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলার দায়ের করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয় হয়েছে।
এসপি শিহাব খান আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ। সেখানে মাদকের সাথে জড়িতরা পুলিশ কিংবা যেই হউক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ইয়াবাসহ এপিবিএনের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর থানায় সোপর্দ করেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওয়াকিবহালমহল বলেন, দীর্ঘদিন ঘুরে ফিরে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বপালন করা পুলিশের বিপথগামী কিছু সদস্য ইয়াবা কারবারসহ নানা অপরাধে জড়ায়। মেজর সিনহা হত্যার পর সেসব অপকর্ম বন্ধে জেলা পুলিশের প্রায় সাড়ে ১৪শ’ সদস্যকে একসাথে বদলি করে দেয়। পদায়ন করা হয় কক্সবাজারের জন্য সম্পূর্ণ নতুন সমপরিমাণ পুলিশ সদস্য। সেখানে আর্মড পুলিশের সদস্যও রয়েছে, যারা বিশেষ করে ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শৃঙ্খলার দায়িত্বপালন করছে। সেখানে পূর্বে বদলি হওয়া বিপথগামীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে কিছু সদস্য। যাদের মাঝে তিনজন গ্রেফতার হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













