বাংলাধারা ডেস্ক »
কক্সবাজার, রাঙ্গুনিয়া ও সাতকানিয়ায় বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। আহত হয়েছেন আরও একজন।
কুতুবদিয়ায় লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে শিক্ষার্থী নিহত :
হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ের কবল থেকে ক্ষেতের লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক শিক্ষার্থী। শনিবার (১ মে) ভোররাত ৩টার দিকে কুতুবদিয়ার লেমশীখালীর লবণ মাঠে বজ্রাঘাতে মারাযান তিনি।

নিহত মুহাম্মদ সোহেল আকবর (১৯) উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের উত্তর লেমশীখালী লুৎফার পাড়ার জয়নাল আবেদীনের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি ২০২০ সালে বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী।
লেমশীখালীর বাসিন্দা উপজেলা আদালতের আইনজীবী সহকারী হাছান মাহমুদ সুজন জানান, ১৮তম রমজানের সেহেরীর সময় হঠাৎ কালবৈশাখীর শুরু হয়। বৃষ্টি লবণ বাঁচিয়ে পলিথিন মুড়াতে বাবার অন্যদের সাথে লবণের মাঠে যান সোহেল আকবর। কাজ করার সময় হঠাত বজ্রপাত শুরু হলে একটি বজ্রাঘাতে মাঠে অচেতন হয়ে পড়ে যায় সোহেল। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া থানার ওসি জালাল উদ্দীন বজ্রাঘাতে শিক্ষার্থী সোহেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাঙ্গুনিয়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু :
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়া ত্রিপুরা সুন্দরী এলাকায় বিকাল ৫ টার দিকে মো. ফারুক নামের এক তরুণ বজ্রপাতে নিহত হন।
নিহত ফারুক ওই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। অন্যদিকে আহত মো. শরীফ (১৭) একই এলাকার কালা মিয়ার ছেলে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতকানিয়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল নারীর :
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বজ্রপাতে মাজেদা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১ মে) ভোরে উপজেলার দেওদীঘি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাজেদা বেগম ওই এলাকার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
বিষয়টি করে সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার রায় বলেন, ‘ভোর ৪টার দিকে দেওদীঘি এলাকায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’
বাংলাধারা/এআই













