জেলা প্রতিনিধি »
মাটি চাপা দেয়ার ২১ দিনের মাথায় জোয়ারের তোড়ে ভেসে উঠলো মৃত তিমির অর্ধগলিত দেহ। রোববার(২ মে) বিকেলের জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে মরদেহটির উপর থেকে মাটি সরে যায় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা।
বিকেল ৫টার দিকে ভাটা নামার পরই মাটিচাপা তিমির দেহাবশেষ অর্ধেক বের হওয়া অংশ দৃশ্যমান হয়। পরে বনকর্মী ও রামু উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রচেষ্টা চালিয়ে দেহটি সন্ধ্যার পর আবারো মাটিচাপা দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা বলেন, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল সৈকতের মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় দুটি মৃত তিমির দেহ ভেসে আসে। নিয়মানুসারে দেহদুটি মাটিচাপা দেয়া হয় সৈকতেই। পূর্ণিমার জোয়ারের বাড়ন্ত পানি গত কয়েকদিন ধরেই উপকূলের তীর ছুঁয়ে আছড়াচ্ছে। ঢেউয়ের তোড়ে রবিবার (২ মে) বেলা তিনটার দিকে দ্বিতীয় মাটিচাপা স্থানে দৃশ্যমান হয়ে উঠে তিমির দেহাবশেষ।

তিনি আরো জানান, স্থানীয় বনকর্মী ও লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে রামুর ইউএনও প্রণয় চাকমাসহ ঘটনাস্থলে যায় আমরা। প্রথমে মনে করেছিলাম তিমির নতুন মরদেহ ভেসে এসেছে। এসময় দূর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। কিন্তু ভাটা নামার পর দেখলাম এটি নতুন নয়, আগের তিমির অর্ধাংশের উপর থেকে মাটি সরে গেছে।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, মাথা ও লেজের অংশটি মাটির ভেতর থাকলেও মাঝখানের অংটি ভেসে উঠছিল। যা থেকে ছড়িয়ে পড়া পঁচা গন্ধ খুবই ভোগিয়েছে। ভাটার পর পূর্বের মতো প্রচেষ্টা চালিয়ে এটি আবারও পুতে ফেলা হয়েছে। রাত ৮টা নাগাদ এটি পুনরায় পুতে ফেলা সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













