কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দোকানে বসারত এক ব্যবসায়ীকে গুলি করার পর কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় শিক্ষার্থীসহ আরো ২ জন আহত হয়েছে। রোববার(০২ মে) দিনগত রাত ৯টার দিকে পেকুয়া উপকূলীয় মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন(৩৮) মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া গ্রামের নুরুন নবীর ছেলে।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আলী আকবর (৩৬) ও নুর মোহাম্মদের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রিফা আক্তার (১৬)।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পেকুয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ জয়নাল আবেদীন ও আলী আকবরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করেন। চমেক হাসপাতালে পৌঁছেই রাতেই ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ২ মে (রোববার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা স্টেশনের পাশের একটি দোকানে বসে গল্প করছিল জয়নাল ও আলী আকবর। এসময় সংঘবদ্ধ হয়ে আফজালিয়া পাড়া এলাকার বদি আলমের ছেলে প্রায় ডজন মামলার আসামী আবু ছৈয়দ ও লঞ্চঘাট এলাকার মৃত নুরুল হোছেনের ছেলে নেজাম উদ্দিন ছোটনের নেতৃত্বে সায়েদ, মোজাম্মেল, মোস্তাক, বুলু, আবুল কাশেম, আহমদ কবির, মকছুদ, নেছার, আবু হানিফ, শওকত আলম, জিয়াবুলসহ আরও ১০/১৫ জন অস্ত্রধারী লোক হামলা করে জয়নাল আবেদীনের উপর। আলী আকবরের বুকে গুলি লাগলে তিনি দৌড় দেন। এ সময় জয়নালকে গুলিসহ এলোপাতাড়ি কুপানো হয়। হৈচৈ শুনে ঘটনা দেখতে এসে আহত হয় স্কুল শিক্ষার্থী রিফা। হামলাকারীরা এলাকা ত্যাগ করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ জয়নাল ও আলী আকবরকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের।
পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। নিহত জয়নাল আবেদীনের পরিবার থানায় হত্যা মামলার এজাহার জমা দিচ্ছেন। এ ঘটনায় জড়িতরা যতই শক্তিশালী হউক না কেন অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ জয়নাল হত্যকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













